বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী, শ্বেতার বাড়িতে রুবেলের জন্য ছিল এলাহি আয়োজন! শ্বেতার মায়ের হাতে রুবেলের রাজকীয় ভোজ! কেমন কাটল শ্বেতা-রুবেলের প্রথম জামাইষষ্ঠী?

বিয়ের প্রথম বছরের জামাইষষ্ঠী (Jamai Sashti) মানেই যেন এক বিশেষ অনুভূতির দিন। আর সেই বিশেষ দিনটিকেই নব-দম্পতির জন্য আরও মধুর করে তুলেছিল ছোট পর্দার জনপ্রিয় জুটি ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’ (Sweta Bhattacharya) ও ‘রুবেল দাস’ (Rubel Das) এর পরিবার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই দুই তারকা। গতকাল তাঁদের দাম্পত্য জীবনের প্রথম জামাইষষ্ঠী পালন করলেন শ্বেতার বাড়িতে, যা ঘিরে ছিল হাজারো পরিকল্পনা, আবেগ এবং পারিবারিক উষ্ণতা। কি কি খেলেন রুবেল এদিন?

শনিবার রাতভর শ্যুটিং থাকায় শ্বেতা বিশেষভাবে কোনও প্রস্তুতি নিতে পারেননি। কিন্তু শ্বেতার মা নতুন জামাইকে নিয়ে ছিলেন চূড়ান্ত ব্যস্ত। রুবেলের পছন্দ-অপছন্দ আগেই জানা থাকায়, তাঁর জন্য মেনু বেছে নেওয়াটা খুব একটা কঠিন হয়নি তাঁর। রবিবার দুপুরে শ্বেতার বাড়িতে রুবেলের জন্য পাত পেতে সাজানো হয়েছিল ভাত, শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, পাঁচ রকমের ভাজা, মোচা চিংড়ি,
দই কাতলা, বেগুন-ইলিশ, মটন কষা।

শেষ পাতে ছিল তিন রকমের মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড় ও আইসক্রিম। যাকে বলে পুরোদমে বাঙালির রাজকীয় ভোজ। তবে এই আয়োজনের মধ্যেও উকি দিল একটুখানি উদ্বেগও। কারণ শ্বেতার মা গত কিছুদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। রেটিনায় জল জমার কারণে অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় আছেন তিনি। কিন্তু শরীর খারাপের মধ্যেও মেয়ের জামাইয়ের জন্য খাতির-যত্নে একটুও ফাঁকি দেননি। এদিন জামাইও ডায়েট ভুলে কবজি ডুবিয়ে খেলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rubel Das (@rubel.official)

শ্বেতার কথায়, “প্রথম বছরের জামাইষষ্ঠী বলে মা নিজের শরীর ভুলে গিয়ে রান্না এবং পরিকল্পনা করেছে সবকিছু।” অন্যদিকে, রুবেলও শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলে শ্বশুরবাড়ির জন্য সময় বার করেছিলেন। সকলেই বাজার করে দিয়ে এসেছিলেন শাশুড়ি মাকে। তিনি শ্বেতার মায়ের জন্য জামাইষষ্ঠীর উপহার হিসেবে কিনেছিলেন একটি সালোয়ার সেট। পাশাপাশি, জামাইকে উপহার দেওয়ার জন্য শ্বেতার মা বেছে রেখেছিলেন কয়েকটি শার্ট।

আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ায় নতুন অতিথি! জামাইষষ্ঠীর দিনে বাবা হলেন পরমব্রত, পিয়া-পরমের ঘরে এলো খুশির খবর!

শুধু তাই নয়, শ্বেতার পরিবারের তরফে রুবেলের পরিবারের সদস্যদেরও নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যাতে দুই পরিবার মিলে দিনটি একসাথে উদযাপন করতে পারেন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটাই প্রথম নয়! গত বছরেও জামাইষষ্ঠীর দিনে রুবেল ছিলেন শ্বেতার বাড়িতে, যদিও তখন প্রেমিক প্রেমিকা ছিলেন দুজন। এবারে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দিনটি পালন করলেন, এবং সেটিকে ঘিরে শ্বেতার উচ্ছ্বাসও ছিল দেখার মতন।