প্রত্যাখ্যানের জন্য প্রেমিক অ্যাসিড ছুঁড়েছিল গোটা মুখে,গ্রাম থেকেও বিতাড়িত!আজ বেহালায় আশ্রয় কষ্টেসৃষ্টে, জানুন দিদি নং ওয়ান পারমিতার চোখে জল আনা কাহিনী

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হলো দিদি নং ওয়ান।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি দেশ-বিদেশ থেকে ওইখানে দিদিরা আসেন তাদের নিজের জীবনের গল্প বলতে। এক এক সময় তাদের স্ট্রাগলের গল্প শুনলে মনে হয় আমরা কিছুই করিনি জীবনে।সেরকমই আজ দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেছেন এমন একজন যার লড়াইয়ের কথা শুনলে আপনার চোখে জল আসবে আবার মুখে ফুটবে এক চিলতে হাসি যে এত কিছুতেও হার মেনে যায়নি মেয়েটি।

এই দিদির নাম পারমিতা বেরা। আসল বাড়ি ঘাটালে। তাকে পিছন দিক থেকে দেখলে আপনার মনে হবে তিনি একজন পরিপূর্ণ নারী কিন্তু যেই আপনি তার সামনে আসবেন তার মুখের অবস্থা দেখে আপনি মনে মনে হলেও চমকে উঠবেন। ‘সুযোগ্য’ প্রেমিকের কুকীর্তিতে তার মুখ আজ অ্যাসিডে পোড়া।সাধারণ মানুষ হঠাৎ করে তাকে দেখলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন ঠিকই কিন্তু তিনি যে অনন্যা। ভয়ে মুখ লুকিয়ে তিনি বসে থাকেননি।

তার সুযোগ্য প্রেমিক তাকে শর্ত দিয়েছিল তার পড়াশোনা করা যাবে না তার চাকরি করা যাবে না তার বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়া যাবেনা।স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনচেতা পারমিতার সেটা কখনোই পছন্দ হয়নি সেজন্য সে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তার মুখে অ্যাসিড ছোঁড়ে তার সেই প্রেমিক। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় পারমিতা তবে জানা যাচ্ছে বর্তমানে তার বেল হয়ে গেছে।পারমিতা দের ঘাটালের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সেই ছেলেটি পাশের গ্রামে থাকে এবং এখনও পারমিতার বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করে।

এরপর পারমিতা তার পরিবারসহ চলে আসে কলকাতায় এবং বেহালায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করে। অ্যাসিড আক্রান্ত বলে কিন্তু সে ঘরে মুখ লুকিয়ে বসে থাকেনি। গতবছর সে তার মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে এবং বর্তমানে সে আকাশবাণীতে উপস্থাপিকার কাজ করছে।

তার এই লড়াইয়ের গল্প শুনে রচনা চোখে জল চলে আসে এবং উপস্থিত সকলেই স্তম্ভিত হয়ে যান। আজকালকার দিনে মেয়েদের কে কতটা অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা পারমিতার মুখেই জানা যায়।কিন্তু নারী মানেই যে নারী শক্তি তাই আবার পারমিতা থেকেই আমরা জানতে পারি যে সে কিন্তু হার মানেনি।