এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েও তিনি বাংলা টেলিভিশন জগতে অপরিহার্য। কিছু কিছু চরিত্রে তাকে ছাড়া আর কাউকেই ভাবতে পারেনা বাঙালি।
কালের নিয়মে অভিনেত্রীর বয়স বাড়লেও আজও সমান দক্ষতায় তিনি তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে চলেছেন।
কখনও পজিটিভ আবার কখনও নেগেটিভ চরিত্রে তুখোড় অভিনয়ে তিনি দর্শকদের মন জিতেছেন। তিনি বাংলার অন্যতম বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল। বিশেষ করে মা, জেঠিমার চরিত্রে রত্না ঘোষালের নাম অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
আরো পড়ুন: সোনামণি ভক্তদের জন্য দারুণ সুখবর! ফের একবার জলসার ধারাবাহিকে ফিরছেন অভিনেত্রী! সঙ্গী হতে পারেন প্রতীক!
বর্তমান সময়ে টেলিভিশনের পর্দা কাঁপালেও একটা সময় কিন্তু সিনেমার পর্দা কাঁপিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বড়পর্দাতে তার অভিনীত ‘দেনা পাওনা’, ‘ছোট বউ’, ‘স্বয়ংসিদ্ধা’, ‘মৌচাক’ আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি। বিশেষ করে মৌচাকে তার অভিনয় যেন পরিণতি পেয়েছিল।
কার সঙ্গে অভিনয় করেননি তিনি? উত্তম কুমার, সাবিত্রী চ্যাটার্জী থেকে রঞ্জিত মল্লিক, মহুয়ার মতো অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমান সময়ে ধারাবাহিকেই বেশি দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। ‘খরকুটো’, ‘হৃদয় হরন বিএ পাস’, ‘কলের বউ’ ইত্যাদি জনপ্রিয় সব ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন রত্না ঘোষাল।
ছোটবেলা থেকেই ভীষণ কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছেন এই অভিনেত্রী। যখন স্কুলব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল তার সেই সময়ই রত্না দেবীর কাঁধে চেপেছিল সংসারের বোঝা। সংসারের প্রতি দায়িত্ব,কর্তব্য পালনে কখনও নিজের ছোটবেলাটাকে কখনও উপভোগই করেননি রত্না দেবী। বাংলার আরও এক নামী অভিনেত্রী গীতা দে ছিলেন রত্না দেবীর আত্মীয়া। তিনিই রত্না দেবীকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন।আসলে রত্না দেবীর মেজদির ননদ ছিলেন গীতা দেবী। আর তার সুবাদেই প্রথমবারের মতো শিশুশিল্পী হিসেবে নাটক এবং থিয়েটারের দুনিয়ায় পা রাখেন রত্না ঘোষাল।