“কাব্য আসার পর আমি যেন আরও শান্ত হয়েছি, আরও ভেবে কথা বলি, অনেক কিছুতেই নতুনভাবে ভাবতে শিখেছি!” দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম বদলে দিয়েছে টলিকুইন কোয়েল মল্লিককে

টলিউড মানেই গ্ল্যামার, আবেগ আর অভিনয়ের মেলবন্ধন। সেই জগতে বহু বছর ধরে রাজত্ব করে চলেছেন টলিউডের প্রিয় মুখ কোয়েল মল্লিক। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিজের অভিনয়, সৌন্দর্য আর মাধুর্যে দর্শকের মন জয় করে আসছেন। আজও তিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনই পরিশ্রমী। প্রথম ছবি নাটের গুরু থেকে শুরু করে আজকের স্বার্থপর, কোয়েল প্রতিটি প্রজন্মের দর্শকের কাছে এক চেনা নাম, এক প্রিয় মুখ।

বছরের পর বছর ধরে রোম্যান্টিক সিনেমা থেকে থ্রিলার—সব ধারার ছবিতেই নিজের ছাপ রেখেছেন অভিনেত্রী। প্রেমের গল্প হোক বা ডিটেকটিভ ছবি, প্রতিটি চরিত্রে কোয়েল নিজের অভিনয় দক্ষতায় ভরিয়ে দিয়েছেন আবেগ। তাঁর পর্দার হাসি, সংলাপ বলার ভঙ্গি, আর সহজাত সৌন্দর্য এখনও দর্শকদের মনে একই রকম জায়গা করে রেখেছে। তাই বলা যায়, টলি কুইনের আসন আজও তাঁরই দখলে।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কোয়েল অভিনীত স্বার্থপর সিনেমা, যা ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে দুর্দান্ত রেসপন্স পেয়েছে। ছবিটি সম্পূর্ণ পারিবারিক গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে সম্পর্ক, আবেগ আর ভালোবাসার মেলবন্ধন ফুটে উঠেছে। দর্শকরা নিজেদের জীবনের সঙ্গে এই ছবিটিকে রিলেট করতে পেরেছেন বলেই সিনেমাটি জনপ্রিয় হয়েছে এতটা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কোয়েল জানিয়েছেন, জীবনের একটা বড় পরিবর্তন এসেছে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান কাব্যের জন্মের পর। অভিনেত্রীর প্রথম সন্তান কবীরের পর আবারও মা হয়েছেন তিনি, আর সেই সঙ্গে জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এসেছে পরিবর্তন। ৪২ বছর বয়সে কাব্যের জন্ম যেন তাঁর জীবনে নতুন আলো এনেছে, নতুন ভাবনায় ভরিয়েছে মন।

আরও পড়ুনঃ “আমি আগেই জানতাম আমার মা মা’রা যাবেন!”— অপরাজিতা আঢ্যর অকপট স্বীকারোক্তিতে হইচই! ‘আপনি তো এই যুগের খনা মা, অভিনয় ছেড়ে এবার জ্যোতিষীর পেশায় নামুন!’ ‘মা চলে যাওয়ার কথা এত শক্ত গলায় বলা যায়!’— অভিনেত্রীকে কটা’ক্ষ নেটপাড়ার!

অভিনেত্রীর কথায়, “কাব্য আসার পর আমি যেন আরও শান্ত হয়েছি, আরও ভেবে কথা বলি, অনেক কিছুতেই নতুনভাবে ভাবতে শিখেছি।” কোয়েল মল্লিক শুধু একজন অভিনেত্রী নন, একজন মা, স্ত্রী, আর কর্মজীবী নারী—সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজের সেরাটা দেন। তাই তো, টলিউডের এই কুইন শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন অনেকের কাছে।

You cannot copy content of this page