সোনালী চুল, বিরাট নাকফুলে একেবারে নতুন রূপ মধুবনীর! ‘ডাকিনী’ কটাক্ষ শুনেই নেটপাড়াকে তুলোধনা মধুবনীর! ‘ছাপরি মার্কা সাজবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে কমেন্ট করতে বলবেন, আর নেগেটিভ কমেন্ট করলেই কটাক্ষ করবেন?’ অভিনেত্রীকে ফের কটাক্ষ নেটিজেনদের

কিছুদিন আগেই একটি নতুন ভিডিওতে ঠাকুর দাদার মৃত্যুর শোক প্রকাশ করেছিলেন ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami)। ভিডিওতে তিনি বলেন, তাঁর দুঃখ প্রকাশের কোনও শব্দ নেই, তাই স্মৃতিগুলো ভাগ করে নেওয়াই একমাত্র উপায়। অনেকেই বুঝেছেন এটি নিছক আবেগের বহিঃপ্রকাশ, কিন্তু তার থেকেও বেশি সংখ্যক নেটিজেনের মতে, এ যেন ছিল শোকের মোড়কে সাজানো ‘কনটেন্ট’। শোকের সময় ভিডিও পোস্ট করায় একাংশ বলেছিলেন, “আজকাল সবই কনটেন্ট! দুঃখও আর ব্যক্তিগত নয়।”

কিন্তু এখানেই শেষ নয়! ক্যামেরার সামনে ঠিক করে কাঁদতে না পারা মানুষটি এখন সমাজ মাধ্যমে একের পর এক রঙবেরঙের রূপে ধরা দিচ্ছেন। চুলে বিদেশিনীদের মত হালকা হলুদ রং, নাকে নতুন এক বিরল নকশার নাকফুল, সব মিলিয়ে একেবারে বদলে যাওয়া মধুবনী। আর এই পরিবর্তনই যেন কাঁটা হয়ে বিঁধছে অনুরাগীদের বুকে! কেউ তো একেবারে লিখে বসেছেন, “ডাকিনীর মতন লাগছে পুরো!”

মধুবনী যদিও নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেই ফেলেছেন, “ডাকিনী” হল হিন্দু শাস্ত্র মতে মা কালীর সহচরী, তাই কাউকে অপমান করার জন্য এমন ভাষা ব্যবহার ঠিক নয়। কিন্তু এই যুক্তি তে কী সবকিছু ধুয়ে-মুছে যায়? একজন দর্শক যেমন লিখেছেন,”ডাকিনী হাকিনী সম্পর্কে কিছুই জানো না, আর প্লিজ নাকেরটা খোলো, চুল তবুও ভালো, নাকের ফুল বিচ্ছিরি লাগছে।” অন্যজন লিখেছেন “দেখুন আপনি সমাজ মাধ্যমে যখন কাজ করছেন।

আরও পড়ুনঃ “শ্মশানে বসে ঠিক করেছিলাম আ’ত্ম’হ’ত্যা করব”— চরিত্র না পেয়ে হতাশ ঐন্দ্রিলা! “অঙ্কুশ ছাড়া টলিউডে যোগ্য আর কেউ নেই!”— ঐন্দ্রিলার অকপট স্বীকারোক্তি!

আপনি নিজেকে দেখাচ্ছেন, তখন সব যে আপনার মনের মতো কমেন্টস হবে এটা আশা করেন কেন? সাজগোজটা যাই হোক, মুখের ভাষাটা ভদ্র রাখুন। কারণ আপনি সমাজ মাধ্যমে কাজ করছেন।” তবে কটাক্ষ এখানেই থেমে থাকেনি। এক নেটিজেন লিখেছেন, “সত্যি কথা বলতে তোমাকে পার্সোনালি আমার অনেকই ভালো লাগে, কিন্তু যেদিন থেকে দেখেছি কাজের মাসিকে কাজের মাসি বলে সম্বোধন করতে,

সেদিন থেকে মনে হয়েছে এটা বলা ঠিক না। ছাপরি মার্কা সাজ না দিলেই ভালো, সম্মান পেতে সময় লাগে কিন্তু সম্মান হারাতে একটুও সময় লাগে না।” সব মিলিয়ে মধুবনীর এই নতুন রূপ যেন পুরনো স্মৃতির সঙ্গে দারুণ এক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে দর্শকদের মনে। কেউ তাঁর আবেগকে বুঝতে চেয়েছেন, কেউ বা কটাক্ষ করেছেন সেটা নিয়ে। এখন প্রশ্ন একটাই, সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতে গেলে কী সাভাবিক রুচিবোধ পাল্টে ফেলা খুব জরুরী?