“মাতৃত্বের চার বছরে এসে এই আক্ষেপ থাকবে ভাবিনি!”— ছেলের জন্মদিনেও অধরা রইল মায়ের আলিঙ্গন! চোখের জল চেপে শুটিং ফ্লোরে সোনালী! রয়েছে শুধুই আক্ষেপ

ছোট পর্দার সদা প্রাণবন্ত অভিনেত্রী ‘সোনালী চৌধুরী’র (Sonali Chowdhury) জীবনের এক বিশেষ দিন ছিল কাল। ছোট ছেলে রিয়ান চার বছরে পা রাখল। অথচ এই আনন্দের দিনেই মায়ের মন খারাপ কেন? কারণ, শুটিংয়ের ব্যস্ততা তাকে বাধ্য করেছে বাড়ি ছেড়ে ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari) ধারাবাহিকের সেটে রাত কাটাতে। এমন দিনেও যখন সকল মা-বাবা তাঁদের সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে দিনভর পরিকল্পনায় ব্যস্ত, তখন সোনালীকে ছেলের পাশে না থেকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে, যা তাঁর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।

সোনালী এদিন সংবাদ মাধ্যমকে নিজের জমে থাকা আক্ষেপ নিয়ে বললেন,”রিয়ান এখন একটু একটু করে বড় হচ্ছে, নিজের আবদার-অনুরোধও করতে শিখেছে।” জন্মদিনে মায়ের পাশে না থাকার অভিমান তার ছোট চোখে স্পষ্ট। অভিনেত্রীর বলেন, “ওর এই বায়নাও একদম স্বাভাবিক এবং তার প্রাপ্য।” কিন্তু তাঁর পেশাগত দায়িত্ব তাঁকে এতটাই গ্লানি দিয়েছে যে, পরিবারের কথা ভেবে নিজের কাজের প্রতি অবহেলা করতে চাননি।

গোটা ইউনিট তাঁর উপর নির্ভর করে, সেখানে একার কারণে সবার কষ্ট বাড়ানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না, বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও সোনালী চেষ্টা করেছেন ছেলের জন্মদিনের প্রতিটি মুহূর্ত বিশেষ করে তোলার। সকালে স্কুল যাওয়ার আগে রিয়ানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তিনি। মা-ছেলের সেই মুহূর্ত ছিল শুধুই ভালোবাসার। শুধু তাই নয়, শুটিংয়ে বেরোনোর আগে মায়ের হাতে রান্নাও সারা!

পায়েস, পাঁচ রকম ভাজা আর মাছের কালিয়ার মতো ছেলের পছন্দের রান্না করে তবেই বেরিয়েছেন অভিনেত্রী। সন্ধেবেলা জন্মদিনের কেক কাটার পরিকল্পনা থাকলেও, তিনি বা স্বামী কেউই উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভিডিও কলে সেই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন দুজনেই। যদিও মনের ভিতর যে আক্ষেপ রয়েই যাবে, তা সোনালীর চোখে-মুখে স্পষ্ট। মাতৃত্বের এই চার বছরের সফরকে মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ “যতদিন পর্যন্ত সম্ভব সমাজ মাধ্যম থেকে দূরে রাখব, টেকনোলজির বাইরে জীবন শিখুক সন্তান।”— সন্তানের মানসিক বিকাশে সমাজ মাধ্যম নয়, বাস্তব জীবনের উপর জোর দিচ্ছেন পিয়া চক্রবর্তী!

অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন,”আজ রিয়ানের জন্মদিন। আমার মাতৃত্বের চার বছর পূর্ণ হলো। আশীর্বাদ করো সবাই, যেন ওকে ভালো মানুষ করে তুলতে পারি।” সোনালীর এই মনখারাপের দিন যেন বহু কর্মরতা মায়ের গল্প বলে যায়। শুটিংয়ের চাপে ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো যখন অধরা হয়ে যায়, তখন শুধু ভালবাসাই সেই শূন্যতাকে কিছুটা হলেও ভরাট করতে পারে। সোনালীর আজকের গল্প সেই ভালোবাসারই নিঃশব্দ সাক্ষী।