টলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) জন প্রতিনিধি হয়েও ব্যক্তিগত জীবনের নানান সিদ্ধান্তের কারণে হামেশাই সামাজিক মাধ্যমের আলোচনার মুখোমুখি হয়ে থাকতে দেখা যায় টলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকবার ট্রোলের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। বরাবরই তিনি থাকেন নিন্দুকদের স্ক্যানারে। তাই কখনও পরনের পোশাক নিয়ে, কখনও দেহের গড়ন নিয়ে, আবার কখনও হিন্দু উৎসবে মাথা ভর্তি সিঁদুর পরে সামিল হওয়া নিয়ে সমালোচকদের নিশানায় স্বীকার হতে হয় তাকে।
কয়েকদিন আগেই ওজন ঝড়িয়ে ছবি দেওয়ার জন্য অভিনেত্রীকে এক নেটিজেন জানান, ‘অসুস্থ’ লাগছে তাকে। একজন লিখলেন, ‘হাল চাষের গরু মতো দেখা যায়। হাড্ডি ছাড়া কিছুই নাই শরীরে।’ অভিনেত্রীর সিঁদুর পরাকে কটাক্ষ করে এক নেটিজেন লিখলেন,‘তুমি এক নাস্তিক তুমি মুসলমান হয়েও তুমি হিন্দুদের ধর্ম পালন করো।’ আবার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি মুসলিম নামের কলঙ্ক।’
ইতিপূর্বে, আগের বছর পুজোর পরপরই নিজেকে যশের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী বসিরহাটের সাংসদ। যদিও তাঁর বিয়ে কবে কোথায় হয়েছে সে ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কখনোই জানাননি এই সেলিব্রিটি জুটি। সন্তান জন্মের পরও, যার পিতৃপরিচয় নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল। পরে বার্থ সার্টিফিকেট ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, ঈশান আসলে যশের সন্তান।
সম্প্রতি দিনকয়েক আগেই ইনস্টাগ্রামের কোশ্চেন অ্যান্ড আনসার রাউন্ডে একজন অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘তুমি অমুসলিমদের বিয়ে করেছো কেন? নাকি তুমি মুসলমান বর পাওয়ার যোগ্য নও?’ আর তাতে মেজাজ হারান নুসরাত। জবাব দেন, ‘তুমি ঠিক কোন গ্রহের প্রাণী? তুমি কি মানুষ…!’ তিনি আরো জানান, ট্রোলারদের বিশেষ পাত্তা দেন না তিনি। যারা ট্রোল করে তাঁদের বেশির ভাগই ফেক। অনেক সময় কাছের মানুষই সামনাসামনি ট্রোল করেন তাঁকে।
২০১৯ সালে তুরস্কের বোদরুমে রাজকীয় বিয়ে সেরেছিলেন নুসরাত জাহান ও তৎকালীন প্রেমিক পোশাক ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। তবে সেই বিয়ে ভারতের ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪’ স্বীকৃতি পায়নি। ২০২২ সালে আলিপুর আদালতে খারিজ হয়ে যায় সেই মামলা। আপাতত অভিনেতা যশের সঙ্গে তাঁর সুখের সংসার। ছেলে ঈশানকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তাঁদের দিন। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, যশের আগের পক্ষের ছেলে রিয়াংশও তাদের সঙ্গেই থাকে।