স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রানী ভবানী’ এখন দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। —সব মিলিয়ে এই ধারাবাহিক ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশাল উন্মাদনা। তবে পর্দার আড়ালে কীভাবে তৈরি হয় এই গল্প, কীভাবে অভিনেত্রী রাজনন্দিনী হয়ে ওঠেন রাজরানী রাজেশ্বরী —তা নিয়েই মুখ খুললেন নায়িকা নিজে।
রাজনন্দিনী জানালেন, “ ধারাবাহিকের শুটিং মানেই সাজপোশাক, সংলাপ, চালচলনে এক অন্য জগৎ” । অভিনেত্রীর কথায়, “মেগা সিরিয়ালের শুটিং মানেই প্রচুর খাটনি। এখানে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে হয়” যেহেতু অভিনেত্রী ঐতিহাসিক গল্পের উপর ধারাবাহিক কি করছেন সেই কারণে আজকের দিনের মতো বাংলা বললেই হয় না, সব কিছুতেই পুরনো সময়ের ছোঁয়া রাখতে হয়।
তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “প্রথম দিকে সাজগোজ এত ভারী ছিল যে দাঁড়াতে অসুবিধে হতো আমার, এই চরিত্রটাকে যাপন করতে গিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয়। কারণ, আমরা জানি না সেই সময়ের মানুষরা কেমন ছিলেন, কেমন আচরণ করতেন।” তা সত্ত্বেও, তিনি চরিত্রটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন এবং জানিয়েছেন —“আমি এই ধারাবাহিক করছি শুধুমাত্র চরিত্রটার জন্যই,”।
আরও পড়ুনঃ “ওর নাম দর্শনা, ‘দর’-‘সোনা’ সোনার দর জিজ্ঞেস করতে গেছে!”— ম’দ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ? ‘পুরো মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছে, রোজ যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে!’ ‘এদের কেউ ধরে না কেন! পুলিশ কোথায়?’— বিতর্কে অভিনেতা সৌরভ দাস!
প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজনন্দিনী। “মানুষ আমাকে নেগেটিভ কমেন্ট করেনি, সবাই ভালোবেসেছে। আমি খুব সৌভাগ্যবতী যে প্রথম কাজেই এতটা সাড়া পাচ্ছি,”। মা-বাবারাও নিয়ম করে দেখেন তাঁর সিরিয়াল—“বাবা অফিস থেকে ফিরে ঠিক ৮.৩০টায় টিভি চালিয়ে দেন, মা সব কাজ ফেলে বসে পড়েন।”
শেষে রাজনন্দিনী বলেন, “মানুষের ভালোবাসা না পেলে সেজেগুজে রাজরানী হয়ে লাভ কী! শেষ পর্যন্ত তো আমরা সবাই কাজটা করি দর্শকের জন্যই। তাদের মন না ছুঁতে পারলে সাজ, পোশাক, আলো—সবই অর্থহীন।” অভিনেত্রীর এই কথাতেই ফুটে ওঠে তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা আর বিনম্রতা। রাজেশ্বরীর মতে, পর্দায় রাজরানীর মুকুট মাথায় রাখার চেয়ে অনেক বড় পাওয়া হলো দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া।






