টলিপাড়ার নব দম্পতিদের তালিকায় এখনও অভিনেতা ‘সৌরভ দাস’ (Saurav Das) এবং ‘দর্শনা বণিক’ (Darshana Banik) -এর নাম উচ্চারণ করেন অনেকেই। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সবাইকে চমকে দিয়ে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন এই জনপ্রিয় তারকা জুটি। প্রায়ই সমাজ মাধ্যমে তাঁদের একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবির দেখা মেলে। তবে, এই সুখী দাম্পত্যের মাঝেই এবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেতা সৌরভ দাস! সম্প্রতি তাঁর এক ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা, যা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন— সৌরভ কি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন?
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন সৌরভ। এক সাংবাদিক দর্শনা কোথায় বা তাঁদের বর্তমানে কেমন রসায়ন জানতে প্রশ্ন করতেই অভিনেতা অপ্রত্যাশিত জবাব দিলেন! সৌরভকে বলে শোনা গেল, “ওঁনার নামের বানানের শেষ পাঁচটা অক্ষর কী? ওর নাম তো দর্শনা, মনে ‘দর’ আর ‘সোনা’! সোনা তাই সোনার দর জিজ্ঞেস করতে গেছে আরকি।” এই সামান্য কিছু কথার মধ্যেই তাঁর উচ্চারণ একাধিকবার জড়িয়ে যেতে থাকে, যা দেখে অনেক নেটিজেন সন্দেহ করেন, তিনি কি মদ্যপ ছিলেন?
এক জন লিখেছেন, “পুরো মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছে, রোজ যেখানে এই কারণে দুর্ঘটনা ঘটে!” আরেকজনের মন্তব্য, “বউয়ের নাম শুনে ক্ষেপে গেল কেন? ঝামেলা হয়েছে নাকি?” এমনকি কেউ কেউ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “এতটা মাতাল হয়েও গাড়ি চালাচ্ছে! পুলিশ কোথায়?” তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেইদিন তিনি আসলে নিজের নতুন ছবি ‘দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। শ্যুটিং ও প্রচারের ব্যস্ততার মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
পরে সৌরভ জানান, মানসিকভাবে চাপে ছিলেন বলেই এমন মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। তাঁর দাবি, সেটি একেবারেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেওয়া প্রতিক্রিয়া ছিল না, বরং মুহূর্তের উত্তেজনায় বলা কথা। উল্লেখ্য, এই ছবিটিকেও ঘিরে চলছে আলাদা বিতর্ক। সেন্সর বোর্ড নাকি ছবিটিতে ৫৪টি পরির্বতনের নির্দেশিকা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সৌরভ নিজেও বেশ খোলামেলা। তাঁর কথায়, “এটা নিঃসন্দেহে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি, কিন্তু তার মানে এই ছবিতে শুধুই যৌ’নতা আছে, এমন নয়। এটা বাংলার সবচেয়ে ভায়োলেন্ট ফিল্ম হতে চলেছে।”
আরও পড়ুনঃ “আমার নাম আসলে দেবলীনা ‘দত’, ‘দত্ত’ নয়…পাঞ্জাবী টাচ্ আছে আমাদের পরিবারে”— অভিনেত্রীর ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক! ‘পাঞ্জাবীর ছোঁয়া পেয়ে একটা ‘ত’ কমিয়েছে, কয়েকদিন আবার কারুর ছোঁয়া পেয়ে ‘দেবু দত’ হয়ে যাবে!’– কটাক্ষ নেটিজেনদের!
তাঁর মতে, ছবির বিষয়বস্তু এতটাই সংবেদনশীল যে অনেক দৃশ্য বোর্ডের দৃষ্টিতে ‘অতি তীব্র’। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন দুই ভাগে বিভক্ত নেটদুনিয়া। কেউ মনে করছেন, সৌরভের মতো জনপ্রিয় অভিনেতার আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল, বিশেষত যখন স্ত্রী দর্শনার নাম উঠেছে আলোচনায়। আবার অনেকে বলছেন, মানুষের আবেগের মুহূর্তে এমন মন্তব্য স্বাভাবিক। বিতর্ক যেমন হোক, এই ঘটনার পর সৌরভ দাস ফের প্রমাণ করলেন— টলিপাড়ায় তাঁর নাম মানেই খবরে থাকা, কখনও প্রশংসায়, কখনও বিতর্কে।







চরিত্র থেকে চেহারা নেটপাড়ায় ব্যক্তিগত আক্র’মণে জেরবার অভিনেত্রী কমলিকা ব্যানার্জি! পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম, অকপট অভিনেত্রী! তবেই কি পরিবর্তন হল চরিত্রের?