টলিপাড়ায় মাঝেমধ্যেই নানা মন্তব্য, ট্রোল বা বিতর্ক নিয়ে অভিনেতাদের আলোচনায় আসতে দেখা যায়। কখনও কোনও মন্তব্য ভাইরাল, কখনও আবার সাধারণ পোস্ট নিয়েও শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। আর সেই চর্চার ভিড়ে সম্প্রতি উঠে এসেছে এক নাম—ঋজু বিশ্বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পাঠানো একটি বাক্য ঘিরে তৈরি হওয়া ঝড়ই যেন আজ তাঁর জীবনে খুলে দিয়েছে নতুন পথ। সাধারণ নেটিজেন থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির লোকজন—সবার নজর এখন এই অভিনেতার দিকেই।
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় “তুমি শাড়িতে সুন্দরী”—ঋজুর পাঠানো এই মন্তব্য হঠাৎই ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফেসবুক–ইনস্টাগ্রাম খুললেই দেখা যাচ্ছিল একের পর এক স্ক্রিনশট। যদিও ঋজুর দাবি, তিনি কয়েকজনকেই মেসেজ করেছিলেন, কিন্তু যেভাবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে, তা একেবারেই বাড়াবাড়ি। কেউ মজা করে স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, কেউ আবার নিজের মেসেজ না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
যেখানে সাধারণত বিতর্কে পড়লে অভিনেতাদের কাজ কমে যায়, সেখানে উল্টোটা ঘটেছে ঋজুর ক্ষেত্রে। ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারা আগামী একটি ছবিতে তাঁকে নায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। শৌভিক ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ছবির নাম ‘উপসংহার’। জানা গিয়েছে, ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেই ভাইরাল ট্যাগলাইনও। ছবিতে ঋজুর বিপরীতে রয়েছেন পায়েল রায়। ঋজুর কথায়, “পরিচালক নিজেই আমাকে বেছে নিয়েছেন। বার্তাটি ছবিতেও ট্যাগলাইন হিসেবে রয়েছে।” বিতর্কের মাঝেই এমন সুযোগ পেয়ে তিনি বেশ আশাবাদী।
ইতিমধ্যেই ছবির বেশিরভাগ শুটিং শেষ। তাঁদের মধ্যে আছে একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও, কিন্তু অভিনেত্রীর কোনও আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন ঋজু। শুধু সিনেমা নয়—একটি বুটিকের জন্য ফটোশুট সেরেছেন তিনি। নিজের লেখা গল্পে ওয়েব সিরিজ তৈরির পরিকল্পনাও চলছে। পাশাপাশি ছোটপর্দায় ফিরে আসার চেষ্টাও করছেন তিনি। বলতে গেলে, বিতর্কের মধ্যেই তাঁর কেরিয়ার যেন নতুন গতি পেতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘রবীন্দ্রনাথ আর সলিল চৌধুরীর পরেই আমি, ওই দু’জনের পর কবীর সুমন নামটাই তো স্বাভাবিক!’ কবীর সুমনের বিতর্কিত দাবি! ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় সমাজ মাধ্যমে, শিল্পীর বক্তব্যে আহত বাঙালির আবেগ?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর সহ-অভিনেত্রী এবং বন্ধু পায়েল রায় স্পষ্ট বলেন, “ঋজু ভুলে গিয়েছিল যে সে একজন সেলিব্রিটি। একজন সাধারণ মানুষ করলে এমন প্রতিক্রিয়া হতো না।” অন্যদিকে ঋজু মনে করেন, কাউকে ভালো লাগলে প্রশংসা করা স্বাভাবিক এবং “ফ্লার্টিং শরীরের পক্ষেও ভালো”, কিন্তু বর্তমান সমাজ কমপ্লিমেন্টকে ভুল ভাবে গ্রহণ করছে। তাঁর মতে, মানুষ এখন প্রশংসাকেই ভুল ব্যাখ্যা করতে শিখে গেছে। কিন্তু এই মন্তব্যে আবারও নেটপাড়ায় সমালোচনার মুখে পড়ছেন অভিনেতা।






‘রবীন্দ্রনাথ আর সলিল চৌধুরীর পরেই আমি, ওই দু’জনের পর কবীর সুমন নামটাই তো স্বাভাবিক!’ কবীর সুমনের বিতর্কিত দাবি! ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় সমাজ মাধ্যমে, শিল্পীর বক্তব্যে আহত বাঙালির আবেগ?