বলিউডের স্বজনপোষণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার দাপুটে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়… ভয়ঙ্কর বার্তা দিলেন তিনি!

বয়সের হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি ইতিমধ্যেই করেছেন তবে দেখে তা বোঝার উপায় নেই অভিনয়জগতে কেটে গিয়েছে 25 বছরের বেশি সময়। বলি টলি থেকে শুরু করে নিজের আপকামিং প্রজেক্ট সমস্ত বিষয়ে খোলাখুলি জানালেন বাংলার অন্যতম ভার্সেটাইল অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। বলিউডের স্বজনপোষণ রাজনীতি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে সোজাসাপ্টা উত্তর দেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। জানালেন চেনা জানা না থাকলেও বলিউডে কাজ করতে পেরেছেন তিনি। কাজেই এগুলি নিন্দুকদের রটনা বলে জানালেন তিনি। আলিয়া ভাট রণবীর কাপুরের মত অভিনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। ওদের বিকল্প কি দেখাতে পারবেন? সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়লেন তিনি । বলিউডের পাশাপাশি এখন তামিল ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি । এরই মাঝে সায়ন্তন ঘোষালের ‘স্বস্তির সংকেত’ ছবিতে কাজ। নেতাজি বাঙালি আবেগ কী এর অন্যতম কারণ?

অভিনেতা জানালেন, ইচ্ছে ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চরিত্রে অভিনয়ের। তবে নেতাজি হিসেবে মানাবে কিনা সেই নিয়ে একটু সংশয় ছিল তার মনে। সোমনাথ কুন্ডুর প্রস্থেটিক রূপটান তাঁর সেই উদ্বেগকে কমায়। সোমনাথ কুন্ডুর তৈরী বিশেষ নাক চেহারায় বসানোর পরেই নিজের মধ্যে নেতাজীর ভাব অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। এর আগে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস এর চরিত্রে দেখা গিয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ,রাজকুমার রাওকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এসেছে তাঁদেরকে টক্কর দেওয়ার প্রশ্ন। তবে গোড়াতেই এই প্রশ্নকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় জানান ,হলিউডে জেমস বন্ডের চরিত্রে একাধিক অভিনেতাকে দেখা গেছে। তাতে বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা কমেনি কারো।
তাই প্রত্যেক এই সবার মত করে চরিত্র ফুটিয়ে তুলছেন বলে মনে করেন তিনি।

চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রযুক্তির কল্যাণে দেখেছেন নেতাজির আসল কিছু ফুটেজ। তাঁর হাঁটাচলা, বক্তৃতা দেওয়া খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন তিনি। আর নেতাজি আবেগ তো সকল বাঙালির মধ্যেই রয়েছে।

নিজেকে কোন একটা নির্দিষ্ট ইমেজের মধ্যে বেঁধে রাখতে চান না অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। বলিউড-টলিউড দক্ষিণী ছবি কোন জায়গাতেই থাকে শুধুমাত্র এক ধরনের চরিত্রে দেখুক এটা কখনোই চাননি তিনি।২৫ বছরের বেশি অভিনয় জীবন পেরোনোর পর তা কিছুটা হলেও করতে পেরেছেন বলে মনে করেন অভিনেতা। বয়সে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেলেও ব্যক্তি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কোন পরিবর্তন হয়নি বলে জানালেন অভিনেতা।

বাংলা ছবির জগৎ কতটা সাবালক হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সিনেমা তৈরির পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সাথে আগে যারা রিলের সাহায্যে সিনেমা তৈরি করতেন তাঁরা অনেক বেশি হোম ওয়ার্ক করতেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে এক শট ৫ বার ৫ দিক থেকে নেওয়া হয়। এরপর কাটাকুটি করে ভালো জিনিসটি তুলে নেওয়া হয়। তবে এরও ভালো দিক থাকতে পারে বলে মনে করছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছবির গল্পে ও পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। আগের মতো সেই সহজ সরল গল্প এখন আর নেই বলেই অভিনেতার।

production house

তবে এরই মধ্যে কেউ অন্য ধরনের ছবি বানালে তা দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই উঠে আসে,দেব-পরাণ বন্দোপাধ্যায় জুটির ‘টনিক’সিনেমার কথা। অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশংসা করলেন তিনি। একই সাথে ৮৬ বছর বয়সে এসে এই অভিনেতা নতুনভাবে আবিষ্কৃত হওয়ায় কিছুটা আফশোসের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। তামিল সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন তিনি। অজানা ভাষায় অভিনয় করা বেজায় শক্ত বলে জানালেন অভিনেতা।

 

২০২২ সালে রাজকুমার সন্তোষীর ‘ব‍্যাড বয়’, অনুরাগ কাশ্যপের’দোবারা’ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরো কাজ।
ওমিক্রন নিয়ে কতটা চিন্তিত তিনি। জানালেন ভয় ভাবনা কিছুই নেই তাঁর মনে।তবে এত বেশি চিন্তার বিষয় হলে প্রেক্ষাগৃহের পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে না থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ, মিটিং-মিছিল বন্ধ করা শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের নিজেদের দিকে না তাকিয়ে জনগণের দিকে তাকাতে বলেছেন এই অভিনেতা। পরিবারের সকলেই সকলের মতন ব্যস্ত থাকার কারণে স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে সময় কাটানো দুস্কর হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।

জন্মদিনটা পর্যন্ত কাটিয়েছেন বাইরে।ঐ দিন তাঁর মেয়ে হিয়া বাবাকে লিখেছে খোলা চিঠি। রাজনীতির ময়দানে কি দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কে?’ কোন ইচ্ছেই নেই ‘ সটান জবাব দিলেন তিনি। জানালেন দলবদল তিনিও করছেন। কিন্তু কিভাবে? আসলে এক প্রযোজনা সংস্থা থেকে আরেক প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করাকেও দলবদলের সাথে তুলনা করলেন তিনি।

জন্মদিনটা পর্যন্ত কাটিয়েছেন বাইরে।ঐ দিন তাঁর মেয়ে হিয়া বাবাকে লিখেছে খোলা চিঠি। রাজনীতির ময়দানে কি দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কে?’ কোন ইচ্ছেই নেই ‘ সটান জবাব দিলেন তিনি। জানালেন দলবদল তিনিও করছেন। কিন্তু কিভাবে? আসলে এক প্রযোজনা সংস্থা থেকে আরেক প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করাকেও দলবদলের সাথে তুলনা করলেন তিনি।