“আমি বাদ পড়লে আরিয়ান কেন নয়?”— মুখ খুলেই বিপদে স্যান্ডি সাহা! ‘ভিডিও বৌমা’ থেকে বাদ পড়ার পর উঠছে পক্ষপাতের প্রশ্ন! ইন্ডাস্ট্রির ‘সিলেক্টিভ শাস্তি’ ঘিরে বিতর্ক

একটা বড় বিতর্কের কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছেন ইউটিউবার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ‘স্যান্ডি সাহা’ (Sandy Saha)ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনার (Thakurpukur accident) রেশ কাটতে না কাটতেই, সান বাংলার (Sun Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভিডিও বৌমা’ (Video Bouma) থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। যদিও দুর্ঘটনার সময় স্যান্ডি গাড়িতে ছিলেন না, এমনকি ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলেন না, তবুও তাঁকে ধারাবাহিক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি নিজেই।

স্যান্ডির মতে, এটি সম্পূর্ণরূপে একপাক্ষিক ও অনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্যান্ডি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন সিরিয়ালের নায়ক আরিয়ান ভৌমিককে নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, “যদি আমি দোষী হই, তা হলে আরিয়ানও সমানভাবে যুক্ত।” তিনি দাবি করেছেন, যেহেতু একসঙ্গে পার্টিতে ছিলেন তাঁরা, এবং পার্টির পর আরিয়ানের বাড়িতেই আড্ডার পরিকল্পনা ছিল, তাহলে শুধুমাত্র তাঁকে বাদ দেওয়ার অর্থ কী? আরিয়ানকে বাদ না দিয়ে শুধুমাত্র তাঁকে টার্গেট করাটা ন্যায্য নয় বলেই মনে করছেন তিনি।

তাঁর দাবি, ‘পার্টিতে তো আরও ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাহলে সবাইকে বাদ দেওয়া হোক।’ স্যান্ডি এই ঘটনায় ভীষণ মানসিক আঘাত পেয়েছেন বলেই জানান। যদিও তাঁর আয়ের মূল উৎস অভিনয় নয়, বরং কনটেন্ট তৈরি—তবুও ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ার সিদ্ধান্ত তাঁকে বিষণ্ণ করে তুলেছে। কারণ, তিনি মনে করেন, যাঁদের একমাত্র উপার্জনের উৎস টেলিভিশন, তাঁদের জন্য এ ধরনের ‘সাসপেনশন’ জীবন-জীবিকার উপর সরাসরি আঘাত।

তাই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে গিয়েই হয়তো এমন শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন স্যান্ডি। স্যান্ডির বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্য রাখতেও পিছপা হননি তিনি। যদিও তাঁর পরিবার তাঁকে চুপ করে থাকতে বলেছিল, তবুও তিনি ন্যায়ের স্বার্থে মুখ খুলেছিলেন। এখন সেই প্রতিবাদই তাঁর কেরিয়ারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়াতেই বিয়ে ভাঙার খবর দেন খোদ সুদীপ পত্নী! আর সোশ্যাল মিডিয়াকেই নর্দমা বললেন অভিনেতা!

অন্যদিকে, যাঁরা নীরব থেকেছেন বা কোনও মন্তব্য করেননি, তাঁদের গায়ে আজও আঁচড়টুকু লাগেনি। শেষ পর্যন্ত, স্যান্ডি চান—যদি তদন্তে কারও দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী শাস্তি হোক, কিন্তু এমনভাবে কাউকে একতরফা দোষী বানিয়ে ‘নির্বিচারে শাস্তি’ দেওয়াটা যেন বন্ধ হয়। “আমি চুপ থাকিনি, সেই কারণেই আজ শাস্তি পেলাম। আর যারা চুপ, তারা পার পেয়ে গেল?”—এই প্রশ্ন তুলেই নৈতিক জবাবদিহি দাবি করেছেন স্যান্ডি সাহা।