সকাল-সন্ধ্যা-রাত সব সময়েই শুটিং ব্যস্ততা, তারমধ্যে সন্তানকে ছেড়ে থাকা যে কী কষ্টের তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অভিনেত্রী স্নেহা চাটার্জী। ঠিক মতো খেয়েছে কিনা, কাঁদছে কিনা, ছেলেকে আবার কখন বুকে আগলে ধরবেন এই সমস্ত চিন্তা আর উৎকণ্ঠায় কেটে যাচ্ছে দিন।
‘সুবর্ণলতা’ থেকে ‘ফাগুন বউ’— বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলিতে বরাবর নিজের স্থান এবং জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ স্নেহা চ্যাটার্জী। ছোট-বড় যে কোনও চরিত্রেই অনায়াসেই নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিতে পারেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাছে আসল থিয়েটারের মঞ্চ। নাটকের মাধ্যমে নায়িকা এত কিছু পেয়েছেন যে চট করে এটাকে ছেড়ে দিতে পারেন না তিনি।
ফ্রিল্যান্স অভিনয়ের কাজে এসে শহরের এক জনপ্রিয় নাট্যদল ‘ফোর্থ বেল থিয়েটার্স’-এর সদস্য এখন তিনি। পাঁচ বছর ধরে অভিনয় করে চলেছেন। এই মুহূর্তে স্নেহা লালকুঠি ধারাবাহিকের একটি জনপ্রিয় চরিত্র। বড় পর্দায় ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি ‘বিসমিল্লাহ’ সিনেমায় কাজ করলেন সম্প্রতি যা মুক্তি পেতে চলেছে আগস্ট মাসে।
কিন্তু কাজ, সংসার হাসিমুখে সব কী করে সামলে নিচ্ছেন অভিনেত্রী? এটার জন্য তিনি নাটককেই দায়ী করলেন। ছেলে তুরুপের জন্মের দেড় বছরের মাথায় বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের থিয়েটারে ফেরার কথা জানালেন অভিনেত্রী স্নেহা চ্যাটার্জী।
অভিনেত্রী জানালেন করোনার সময়ে দুই বছর কোনও কাজ করেননি। তার পর আবার নাটকের হাত ধরেই ফিরে এলেন তিনি। ‘পি. এস ভালবাসা’ ছিল সেই নাটকটির নাম। তুরুপের জন্মের দশ মাসের মাথায় সকলকে অবাক করে থিয়েটারের মঞ্চে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী স্নেহা।
কিন্তু এই ফিরে আসাটা কেন ধারাবাহিকে নয় এর উত্তরে নায়িকা বলেছিলেন যেমন সুযোগ পেয়েছেন তেমন তার সদ্ব্যবহার করেছেন সেই পরিস্থিতিতে। পাশাপাশি কোন কাজকেই তিনি তুচ্ছ বলে মনে করেন না। মঞ্চ আর পর্দায় আলাদা আলাদা নিয়ম খাটে। সবগুলো বেশ এনজয় করে কাজ করেন অভিনেত্রী।