“মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে সিনেমা বানিয়ে লস খেয়েছিলাম অনেক বড়!”— সোহমের মন্তব্যে বিতর্ক! “পায়ের নখের সমানও নন আপনি, কোন সাহসে এমন কথা বলেন?” “কটা অভিনয় করেছেন, আপনি ছিলেন বলেই লস হয়েছিল!”– দর্শকের কটাক্ষে ভাসছেন অভিনেতা!

টলিউডের অভিনেতা ‘সোহম চক্রবর্তী’র (Soham Chakraborty) কাছে গত বছরের পুজোটা ছিল একেবারেই বিশেষ। প্রযোজক হিসেবে প্রথমবার তাঁর ছবি ‘শাস্ত্রী’ মুক্তি পেয়েছিল দুর্গাপুজোর মরসুমে। একাধিক হলের শো পাবেন ভেবেছিলেন, এমনকি নন্দন কিংবা রাধা স্টুডিয়োর মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহেও প্রদর্শনীর আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল– পর্যাপ্ত শো তো দূরের কথা, সরকারি হলগুলিতে জায়গা পায়নি এই ছবি। ফলত, এই নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়েছিল। অনেকে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক কারণেই দায়ী।

যদিও সোহম বারবার বলেছিলেন, শিল্প আর রাজনীতি আলাদা। সিনেমার সঙ্গে রাজনৈতিক মতামতকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। তবে, ‘শাস্ত্রী’ নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন বুনেছিলেন, সেটা একাংশও পূরণ হয়নি। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত আরেকটি ছবি ‘বহুরূপ’। হল এবং শো কম পড়েনি, যথেষ্ট সুযোগও এসেছিল প্রদর্শনীর জন্য। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। বক্স অফিসে ছবিটি তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি, যদিও সোহমের অভিনয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল যথেষ্ট।

পাশাপাশি এবার মেগাস্টারের কিশোরী, ইধিকা পাল সোহমের ছবির নায়িকা হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও পরিকল্পনাই কাজে দিলো না এবারও। এই সমস্ত কিছু নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সোহম। তিনি জানিয়েছেন, “প্রডিউসার হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে ভালোই লস করেছিলাম আগেরবার। অনেক খারাপ লেগেছিল, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী একজন এত ভালো অভিনেতা রয়েছেন। আমি রয়েছি সঙ্গে, আরও অনেকেই ছিলেন। বড় কথা, ১৬ বছর পর মিঠুন-দেবশ্রী রায়কে একই ফ্রেমে এনেছিলাম।

তার পরেও ছবিটা চলল না, কষ্ট লাগাটাই তো স্বাভাবিক।” অভিনেতার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। মূলত বিতর্ক উঠতে দিয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে লস করার কথাটা। কেউ লিখেছেন, “আপনার পূর্ব পুরুষ হয়তো কোনোদিন একটি ভালো কাজ করেছিলেন যে, আপনি মিঠুন চক্রবর্তীর মতন অভিনেতার সাথে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন।ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ থাকুন এর জন্য, এমনিতে তো রাজ মিস্ত্রির যোগ্যতাও নেই!” একজনের মতে, “ওনার পায়ের নখের স্ট্যাটাসও আপনার থেকে বেশি!”

আরও পড়ুনঃ “কী যে দুর্ব্যবহার করেছি! সোনালীর শেষ ইচ্ছাও রাখতে পারিনি, কোনও কথাও শুনিনি”— স্ত্রী প্রয়াণের পর আক্ষেপ, হতাশা গ্রাস করেছে শংকর চক্রবর্তীকে

অন্যজন কটাক্ষ করেছেন, “হ্যাঁ নিজে মনে হচ্ছে অনেক বড় অভিনেতা! চেটে চেটে হরলিক্স খাওয়া যায়, হিরো হওয়া যায় না, আপনি ছিলেন বলেই লস হয়েছিল!” সব মিলিয়ে, সোহমের ছবি নিয়ে এখন তুমুল আলোচনার ঝড় বইছে টলিউড পাড়ায়। বক্স অফিসের ফলাফল, প্রযোজক হিসেবে ক্ষতি কিংবা অভিনেতা হিসেবে ব্যর্থতা– নানান দিক থেকে আসছে কটাক্ষ। তবে এই বিতর্কের মাঝেই দেখার, ভবিষ্যতে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কিনা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।