আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের মা-বাবার মতোই স্নেহার মা-বাবাও চেয়েছিলেন মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন ছিল অন্য। তাঁর বরাবরই ঝোঁক ছিল অভিনয়ের প্রতি। আর সেই স্বপ্নকে ছুঁতে বেশ কিছু ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে স্নেহা চট্টোপাধ্যায়কে।
১৯৯১ সালের ১২ই অক্টোবর কলকাতার গৌরীপুরে জন্মগ্রহণ করেন স্নেহা। স্কুলে পড়াকালীন এক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। বেশ প্রশংসা পান নিজের অভিনয়ের জন্য। সেই থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ে তাঁর। আগে তাঁর নাম ছিল সুহাসিনী। তবে টেলি পর্দায় স্নেহা নামেই পরিচিতি পান অভিনেত্রী।
কলেজে পড়ার সময় ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে নিজের খরচা চালাতেন স্নেহা। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্রী ছিলেন তিনি। সেই সময় কিছু সঞ্চালিকার কাজও করেন স্নেহা। এমনকি, একবার খবরও পড়েছেন টেলিভিশনের পর্দায়। এরপর কলেজ শেষের পর যখন চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, সেই সময় ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকের জন্য ফোন আসে তাঁর কাছে। ব্যস, এরপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তবে ‘সুবর্ণলতা’ ধারাবাহিকে সেজো বউয়ের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করেন স্নেহা। শুধু তাই-ই নয়, ‘জলনূপুর’, ‘নকশি কাঁথা’-তে তাঁর নেগেটিভ চরিত্র দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। একবার এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য স্নেহা আক্ষেপের সুরে বলেন যে অনেকেই তাঁকে বলেন যে তিনি ভালো অভিনয় করেন। কিন্তু পরে আর ডাকেন না। কিন্তু সেসব ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আজ স্নেহা নিজের জীবনে সফল।
শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়, সংসারের কর্ত্রী হিসেবেও স্নেহা এক সফল মহিলা। ২০১৬ সালে এডিটর সংলাপ ভৌমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। গত মাসেই দিয়েছেন সুসংবাদ। এক পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন তিনি।
আপাতত, স্নেহা মা-বাবা, স্বামী ও নিজের সদ্যজাতকে নিয়ে চুটিয়ে সংসার করছেন। তবে খুব শীঘ্রই আবার অভিনয়েও ফিরবেন তিনি।