অনিন্দিতা অতীত, এবার সৃজিতের স্ত্রী মিথিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সৌরভ দাস-এর! রাগ করেছেন সৃজিত মুখার্জী?

যৌনকর্মী ও যৌনপল্লীর প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল হইচইয়ের চর্চিত ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’। এই সিরিজের জন্য বিশেষ প্রশংসিত হন সৌরভ দস ও শোলাঙ্কি রায়। এবার এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে। এই সিজনে শোলাঙ্কির জায়গা নিতে চলেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সৃজিত-পত্নীকে কো-স্টার হিসেবে পেয়ে বেশ উত্তেজিত সৌরভ।

এই ওয়েব সিরিজের পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। গত মাস থেকেই এই সিরিজের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। চলতি সপ্তাহেই এই সিরিজের শুটিং শুরু হওয়ার কথা কিন্তু সদ্যই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মিথিলা। এর জেরে শুটিং ফের পিছিয়ে যাবে কী না, তা এখনও জানা যায়নি।

একদিকে করোনার ভয় তো রয়েইছে। এর উপর আবার সৃজিত-পত্নীর সঙ্গে কাজ নিয়ে সৌরভ বেশ টেনশনে। সৌরভ জানান তিনি মিথিলার অন্ধ ভক্ত। তবে তাঁর এও বিশ্বাস যে ভালো অভিনেতা সঙ্গে থাকলে কাজটাও ভালো হয়।

সৌরভের কথায়, “সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী আমার বিপরীতে অভিনয় করবেন, তার জৌলুসই আলাদা (হাসি)। তবে, এখনও আমরা একে অন্যের মুখোমুখি হইনি”। তিনি কী একটু টেনশনে রয়েছেন? সৌরভের জবাব , “যেহেতু আমরা একে অন্যকে চিনি না তাই আগে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে, পরে অভিনয়।…. একদম অচেনার সঙ্গে কাজের আলাদা অনুভূতি। বন্ধুত্ব হয়ে গেলে নজর কাড়ার মতো রসায়ন তৈরি হবে”।

আড়াই বছর পর ফের পুরনো চরিত্রে ফিরছেন সৌরভ। কোনও কী প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি? অভিনেতার কথায়, “মন্টু হব বলে নিজের সাত দিন আলাদা সময় কাটিয়েছি। এবার করোনার দৌলতে আলাদা নিভৃতবাসের প্রয়োজন পড়ছে না। আগের সিজনটা দু’বার দেখেছি। ১০ জানুয়ারি আবারও দেখব”।
যৌনপল্লীর মেয়ের চরিত্রে মিথিলাকে কতটা মানাবে তা নিয়ে অনেকের মনেই বেশ ধন্ধ রয়েছে। তবে এই বিষয়ে মন্টু কিন্তু বেশ কনফিডেন্ট। সৌরভের কথায়, “মন্টু পাইলট’-এর আগে এই সৌরভ দাসও কিন্তু কেবলই কৌতুকাভিনেতা ছিলেন। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, মিথিলা যেটা নন সেটাই এই সিরিজ দেখাবে। আর মিথিলার মতো অভিনেতা সে সব খুব ভালই ফোটাতে পারবেন”।

মন্টু পাইলটে একাধিক সাহসী দৃশ্য ছিল। এবারও যে তেমনটাই হবে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সৃজিত-পত্নীর সঙ্গে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করা কি একটু চাপের হবে? সৌরভের কথায়, তিনি এখনও গোটা চিত্রনাট্য হাতে পান নি, তাই ঠিক কতোখানি সাহসী দৃশ্য রয়েছে,তা তিনি জানেন না।

তবে সৌরভের দৃঢ় বিশ্বাস তিনি এক টুকরো কাঠের সঙ্গেও অভিনয়ন করতে পারবেন। তাঁর মতে, সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দুই সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীকে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে ও পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তবে সাহসী দৃশ্য আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। এর আগে ‘গুমনামী’ ছবিতে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলেও ডেটের সমস্যা থাকার জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি সৌরভের। মিথিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সৌরভকে দেখে সৃজিতের কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে মনে করছেন সৌরভ?

একটু হেসে সৌরভের জবাব, “সৃজিতদা হয়ত বলে উঠলেন বাবু বেশি না”। তবে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় খুব ভালোভাবেই জানেন যে চিত্রনাট্যের তাগিদে অভিনেতাদের কী কী করতে হয়। তবে সৌরভ নিশ্চিত যে এবার অন্তত মিথিলার খাতিরে সৃজিত মন্টু পাইলট দেখবেন। এর পাশাপাশি তিনি সৃজিতের পরবর্তী প্রোজেক্টে ফের সুযোগ পাওয়ার জন্যও মুখিয়ে রয়েছেন।