দুঃস্থ পথশিশুদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিয়ে করেননি তিনি! অমরেশের দাদাগিরিতে মুগ্ধ মহারাজ

জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় শো দাদাগিরি (Dadagiri)। বাঙালির এমন একটি শো যেখানে বারবার বাঙালি প্রণাম করেছে তার লড়তেও পারে তারা গড়তেও পারে। পুরুষ হোক বা মহিলা, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার হোক কি শিক্ষক তাদের তাদের নিজ নিজ স্থানে দাদাগিরি করে করেছেন সকলের ভালো সেটা লড়াইকেই দাদাগিরির মঞ্চ তুলে ধরে। তার সঙ্গে রয়েছে খেলা। নিজের মেধা, বুদ্ধির প্রয়োগ করেই তারা নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারেন সেরার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে।

জি বাংলার বাংলার দাদাগিরি এবার চলছে দাদাগিরির দশম সিজন। নানা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জাররা, ধারাবাহিক বা সিনেমার কলাকুশলীরা, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, অনেকেই এসেছেন এই বছর দাদাগিরির মঞ্চে। তেমনি দাদাগিরি আজকের পর্বে খেলতে আসছেন অমরেশ আচার্য। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। তবে শিক্ষকতার বাধা ধরা নিয়ম মেনেই শিক্ষা দেওয়ায় তার কাজ নয়। তার শিশু ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ করে তোলাই তার আসল উদ্দেশ্য।

সমাজের বুকে তাদের একজন প্রকৃত মানুষ করে তুলতেই তিনি বদ্ধপরিকর। বাংলার দাদাগিরি ১০ শের মঞ্চে আসছেন বর্তমান সমাজের বাংলার মাস্টারদা। তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও তিনি শুধু সাধারণ শিশুদেরই শিক্ষা দেন না বরং তিনি দুস্থ শিশুদেরও পড়াশোনা শেখান, তাদের দেখাশোনা করে, তাদের যাবতীয় খেয়াল রাখেন। এইদিন তিনি নিজের কাজের কথাই তিনি ভাগ করে নিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে। সেই গল্পই তিনি তুলে ধরেন এইদিন দাদাগিরির মঞ্চে তার সম্পূর্ন লড়াই শুনে কি বললেন বাংলার দাদা সৌরভ গাঙ্গুলি?

তিনি জানিয়েছেন “ কৃষ্ণনগর স্টেশনে যখন আমি রোজ যেতাম, দেখতাম কত মানুষ না খেতে পেয়ে শুয়ে আছে। সেটা দেখেই আমার খুব খারাপ লাগত। বিষয়টি সবসময় আমায় ভীষণ ভাবতো। তারপর থেকেই আমি যুক্ত হয় এইকাজে। এখন আমি স্টেশনে গিয়ে সেখানকার বাচ্চাদের দুধ খাওয়াই, স্কুলে পাঠাই। ওদের খেয়াল রাখি যাতে তোদের শরীরে পুষ্টির কোনও রকম ঘারতি না নয় সেই সবকিছু আমি দেখি।” তাকে ভালোবেসে সকল শিশুরাই মাস্টারদা বলে ডাকেন। তাই তিনি নিজেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার সবটাই তিনি উজাড় করে দেবেন ওদেরকেই।

আরো পড়ুন:টলিউডে পাননি যোগ্য সম্মান, ঋতুপর্ণার প্রথম নায়ক হয়েও আজ কাজ মেলেনা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের! জানালেন কষ্টের কথা

তাই তিনি সারাজীবন বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কাজের পাশাপাশি দুঃখী মানুষের খেয়াল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার কাজে মুগ্ধ সৌরভ গাঙ্গুলি। তার কাজ দেখে সৌরভের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে “বাহ্” শব্দটি। তিনি জানিয়েছেন “আপনি একজন সত্যিকারের শিক্ষক।” তাহলে আপনাদের এই পর্বটি কেমন লেগেছে?