“আমার গয়নার শখ নেই, কাঞ্চনই আমার সেফটি ডিপোজিট!”— ধনতেরসের দিন অকপট স্বীকারোক্তি শ্রীময়ী চট্টরাজের!

ধনতেরস মানেই ঝলমলে সোনার গয়না, আলোর উজ্জ্বলতা আর সুখসমৃদ্ধির কামনা। কিন্তু টলিউড অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের কাছে এই উৎসবের মানে একটু অন্যরকম। সোনার গয়নার ঝলক নয়, তাঁর জীবনের আসল উজ্জ্বলতা স্বামী কাঞ্চন মল্লিক। হাসতে হাসতে শ্রীময়ী জানালেন, “আমার সোনার গয়নার শখ নেই শুনে কাঞ্চন আকাশ থেকে পড়েছিল! বলেছিল, তুই তো আমার থেকেও অগোছালো!”

উৎসবের সাজগোজে শ্রীময়ী সবসময়ই ঝলমলে থাকেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়নাও পরেন। তবে এ বছর তাঁর গয়নার বাক্সে যুক্ত হয়েছে এক বিশেষ সংযোজন। অভিনেত্রীর ভাষায়, “কাঞ্চন মেয়েকে সোনার গয়না কিনে দিয়েছে। ওর মতে, ওর ‘জীবন্ত মা লক্ষ্মী’-র জন্য এটা ছোট্ট উপহার।” শ্রীময়ীর কণ্ঠে ভালোবাসার গর্ব স্পষ্ট।

শ্রীময়ী স্মৃতিচারণ করলেন তাঁদের ফুলশয্যার রাতের কথা। “কাঞ্চন জানতে চেয়েছিল, কী গয়না চাই। আমি বলেছিলাম, গয়না নয়, ইউরোপে বেড়াতে যাব। তখনই বলেছিল, আমি নাকি ওর থেকেও বেশি আগোছালো। তারপর শাশুড়ি মা নিজের কানপাশা, লোহা বাঁধানো গয়না আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন।”

‘গয়না মানেই মহিলার সেফটি ডিপোজিট’— এমন ধারণা নিয়েই যখন প্রশ্ন করা হয়, শ্রীময়ী জানান, “কৃষভির সময়ে আর গয়নার প্রতি ঝোঁক থাকবে বলে মনে হয় না। আর আমার বাক্সে যা আছে, ওর জন্য যথেষ্ট।” তাঁর গয়নার বাক্সে রয়েছে মা, ঠাকুরমা ও শ্বশুরবাড়ির পুরনো আমলের ভারী সোনার অলংকার।

আরও পড়ুনঃ “আমিও রক্ত-মাংসের মানুষ, এই ঘটনায় শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার হলে দায় কে নেবে?” “এই ইন্ডাস্ট্রি আমার অচেনা, চাইছি না আর কাজ করতে!”— ২৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়েও ছোটপর্দা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তুলিকা বসু! কারণ জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি!

অভিনেত্রীর নিজের জন্য এবারে কোনও দামি গয়না নয়, বরং ঠাকুরের জন্য সোনার জল করা মুকুট, হার আর রুপোর বাসনই কিনেছেন তিনি। মিষ্টি হাসিতে বলেন, “সোনার দাম শুনে ছ্যাঁকা খাচ্ছি! ছোঁব কী?” তবু হাসির ছলে বললেন, “আমার গয়না কাঞ্চন, ও-ই আমার সেফটি ডিপোজিট।” — এই এক কথাতেই যেন মিশে রয়েছে শ্রীময়ী-র সম্পর্কের গভীরতা, ভালোবাসার উজ্জ্বলতা এবং ধনতেরসের আসল সোনালি মানে।

You cannot copy content of this page