টলিউডের লেডিস সুপারস্টার শুভশ্রী গাঙ্গুলী আবারও হাজির হচ্ছেন নতুন এক চরিত্রে। বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দা— দুই জায়গাতেই সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত তাঁর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘অনুসন্ধান’–এর প্রমোশনে। ব্যক্তিগত জীবন, মাতৃত্ব, পেশা— সবকিছুর মধ্যেই নিজের ভারসাম্য রেখে এগিয়ে চলা শুভশ্রী এবার দর্শকদের সামনে এক অন্য রূপে ধরা দিতে চলেছেন।
এই সিরিজে শুভশ্রীকে দেখা যাবে একজন ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের চরিত্রে। গল্পের নাম যেমন ‘অনুসন্ধান’, তেমনই অভিনেত্রীর কথায়, “আমাদের জীবনও আসলে একটানা অনুসন্ধানের মধ্যেই কাটে। ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সবই রহস্যের জাল ভেদ করার মতো।” শুভশ্রীর মতে, জীবনে যা করতে ইচ্ছে করে, তা করে নেওয়া উচিত— কারণ জীবনও এক রহস্য, কখন ‘এক্সিট গেট’ সামনে চলে আসে, কেউ বলতে পারে না।
একসময় শুভশ্রীর হাসি ছিল টলিউডের অন্যতম চেনা ট্রেডমার্ক। তবে এখন আগের মতো প্রাণখোলা হাসি দেখা যায় না তাঁকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমার প্রেগন্যান্সির সময় অনেক বই পড়েছি। সেখান থেকেই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে।” এমনকি জোরে হাসার কারণে একবার ছেলে ভয় পেয়ে গিয়েছিল তখন থেকেই অভিনেত্রী আরো সংযত হয়েছেন।
আলোচনার মাঝেই উঠে আসে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের নানা অভিজ্ঞতা। শুভশ্রী জানান, “অনেক সময় সাংবাদিকরা ভুল লিখলেও, এখন সবচেয়ে ভয় পাই নিজের ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের। কারণ তারাই অনেক সময় বাজে কথা ছড়িয়ে দেয়।” অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট— ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে প্রতিনিয়ত কি ঘটে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘কম্পাস’-এর পর্দার প্রেম বাস্তবে! পর্ণাকে ভালোবাসায় ভরালেন অরুণাভ! প্রেমের পোস্ট দেখে তোলপাড় নেটদুনিয়া!
শেষে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ হিংসা করে কিনা, শুভশ্রী হেসে উত্তর দেন, “এত ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও প্রতি হিংসা পোষণ করে, এটা আমি ভাবি না। কেউ করলেও তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” নিজের ভাবনা, জীবনদর্শন, পেশা এবং মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা— সব মিলিয়ে শুভশ্রী গাঙ্গুলী যেন এক পরিণত নারী। ‘অনুসন্ধান’ সিরিজের মাধ্যমে তাঁর এই নতুন রূপ দর্শকদের কতটা ছুঁতে পারে, এখন সেই অপেক্ষাতেই টলিউডপ্রেমীরা।






