শুভশ্রী গাঙ্গুলী। একটা সময় তাঁর পরিচয় ছিল তিনি শুধুই একজন টলি অভিনেত্রী। এখন যুক্ত হয়েছে আরো দুটো পরিচয়। একদিকে তিনি টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং অন্যদিকে তিনি সদ্য মা হয়েছেন। এইসবকটি চরিত্র সামলেও যেভাবে নিজেকে বজায় রেখেছেন এই লড়াইয়ে, তাতে নায়িকার অনুরাগী সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত হাবজি গাবজি সিনেমায় কাজ করার পর এবার আগামীতে কাজ করবেন তিনি বৌদি ক্যান্টিন নামক সিনেমাতে। খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত একটি সিনেমা হবে এটি। খাওয়া-দাওয়া বলতেই প্রসঙ্গ উঠে আসে রান্নার। নায়িকা কতটা রান্নায় পারদর্শী?
উত্তরঃ এ অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী জানিয়েছেন একেবারেই দক্ষ নন তিনি। তবে সিনেমা করতে গিয়ে সব শিখতে হয়েছে। বিয়ের আগে তিনি প্রচুর রান্না করতেন তবে বিয়ের পর একেবারেই রান্না-বান্নার ধারের কাছে যেতে দেয় না শাশুড়ি এবং বর।
নায়িকা জানিয়েছেন ছেলেদের জন্মদিন হলে পায়েস করে খাওয়ান। এটা শুধু ছেলে ইউভান নয়, বাড়ির যে কোনো সদস্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একটা সময় ছিল যখন পরান যায় জলিয়ারে চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সিনেমায় একের পর এক অভিনয় করে চলেছেন শুভশ্রী। তারপর সেখান থেকে সরে এসে অন্য ধরনের ছবি যেমন পরিণীতা করেছেন তিনি। এবার বৌদি ক্যান্টিনে অভিনয় করতে চলেছেন নারীপ্রধান একটি চরিত্র। এ প্রসঙ্গে শুভশ্রী জানিয়েছেন স্বামী-সংসার সামলেও যে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারা যায় সেটাই এই ছবি বলবে।
বৌদির চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। নায়িকা কে জিজ্ঞাসা করা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকার প্রিয় দেওর কে? শুভশ্রী জানান ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো কেউ সাহস করে তাঁকে বৌদি বলে ডাকতে পারে না। একজন খুব প্রিয় মানুষ রয়েছেন যিনি নায়িকার বিয়েতে তাঁর ভাসুর হিসেবে আশীর্বাদ করেছিলেন। সেই মানুষটি হলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
নায়িকারই মন্তব্যের পর এই একরাশ কটাক্ষের ঝড় উড়ে এলো কমেন্ট বক্সে। কেউ কেউ বলছে হয়তো তাদের সিদ্ধান্ত জানায় তাই বৌদি বলে ডাকতে পারে না। আবার কেউ বলছে বৌদি এই যে আমি বললাম। আবার কেউ জিজ্ঞাসা করেছে মাসীমা বলে ডাকে নাকি?