“পাত্রী চাই!”—মাত্র ছয় বছরের ছেলে আদিদেবের জন্য পাত্রী খুঁজছেন মা সুদীপা! বিয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুরোধ জানালেন সবাইকে!

জি বাংলার জনপ্রিয় রান্নার অনুষ্ঠান ‘রান্নাঘর’ (Zee Bangla Rannaghar) -এর প্রাক্তন সঞ্চালিকা ‘সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ (Sudipa Chatterjee) কে চেনেন না এমন টিভির দর্শক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পর্দার বাইরে যেমন তিনি নিজের স্টাইল, মতামত আর কার্যকলাপের জন্য খবরের শিরোনামে থাকেন, ঠিক তেমনই তাঁর সমাজ মাধ্যমেও উপস্থিতিও যথেষ্ট নজর কাড়ে।

তাঁর ছেলে আদিদেবের সঙ্গেও বহুবার বিভিন্ন কিউট ভিডিও পোস্ট করেছেন, যাতে দর্শক অনেক ভালোবাসা দেন। তবে এবার সুদীপা যা করলেন, তা দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছেন, কেউ বা হেসে গড়িয়ে পড়েছেন! আসলে সুদীপার ছেলে আদিদেব এখনো শিশুই, মাত্র ছয় বছর বয়স। অথচ তার জন্যই পাত্রী খোঁজা শুরু করেছেন মা! প্রথমে এই কথা শুনে অবাক হয়েছেন অনেকে। তবে ব্যাপারটা একটু আলাদা।

আদিদেব নয়, পাত্রী খোঁজা হচ্ছে পরিবারের অন্য এক সদস্যের জন্য, যে সদস্য সবচেয়ে আদরের, যে সদস্যের চার পেয়ে! হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন! সুদীপার পোষ্য ভান্টু, এক গ্রেট ডেন প্রজাতির কুকুর, এই ঘটনার আসল নায়ক। এদিন সমাজ মাধ্যমে ভান্টুর নামেই একটি পোস্ট করে সুদীপা জানিয়েছেন, তার পোষ্য নিজেই সামাজিক ভাবে ‘বিবাহের বিজ্ঞাপন’ দিচ্ছে। আর তাতে লেখা, “আমি ভান্টু, দেখতে দারুণ হ্যান্ডসাম, তিন বছর বয়স।

আরও পড়ুনঃ ধীরে ধীরে ষড়যন্ত্রের জাল গুটিয়ে আসছে শুভ-আদির শত্রুপক্ষের! শত্রুকে ধরার জন্য শুভ হাত মিলিয়েছে আকাশের সঙ্গে! তবে কি এবার রায় বাড়ির সবাই জানতে পারবে আসল শত্রুর নাম?

কিন্তু মা আমাকে এখনও বেবি ভাবে! এখনো কোনও পাত্রী খোঁজার চেষ্টাই করছে না।” সেখানে আরও লেখা, পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যখনই কথা বলেন সুদীপা, তখন নাকি সবাই শুধু ভান্টুর দুষ্টুমি নিয়ে হাসাহাসি করেন। কিন্তু কেউই সিরিয়াসলি তাঁর বিয়ে নিয়ে ভাবে না। তাই ভান্টু এবার নিজেই নিজের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে। নিজের সুন্দর একটি ছবি দিয়ে সে লিখেছে ‘পাত্রী চাই!’

আর অনুরোধ করেছে মিমি (মিমি চক্রবর্তী) আন্টি এবং বাবুল (বাবুল সুপ্রিয়) আঙ্কেলকে যেন একটা ‘স্মার্ট গ্রেট ডেন পাত্রী’ তার জন্য খুঁজে দেন। পোষ্যপ্রেমী সুদীপার এই অভিনব পোস্ট মন জয় করে নিয়েছে অনেকের। কেউ বলছেন, “এত কিউট বিয়ের বিজ্ঞাপন আগে দেখিনি!” মজার ভেতর দিয়ে এই পোস্ট প্রমাণ করে দিল, মানুষ আর পোষ্যের সম্পর্ক শুধুই দায়িত্বের নয়, ভালোবাসা আর দুষ্টুমিও।

You cannot copy content of this page