টলিউডে বহু বছর ধরে কাজ করছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ক্যামেরার সামনে যেমন শক্তিশালী, তেমনি ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন সবসময়ই সংযত ও গোপনীয়তা রক্ষায় সতর্ক। শিল্পজগতের চাপে থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের জীবনকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন এবং পরিবারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। দর্শকরা তাঁকে বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা, মঞ্চ থেকে স্ক্রিন—সবখানে এক নতুন রূপে দেখেছে।
সুদীপ্তার জীবনসঙ্গী পরিচালক অভিষেক সাহার সঙ্গে ১২ বছর আগে নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০১৫ সালে জন্ম নেওয়া কন্যা শাহিদা নীরা পরিবার ও বন্ধুবর্গের কাছে এখন সবার পরিচিত মুখ। টলিউডের এই পরিবারিক ছবিটি অনেকের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
শুধু অভিনয়েই নয়, মঞ্চেও সুদীপ্তা নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ‘লাখটাকার লক্ষ্মীলাভ’ অনুষ্ঠানটি তিনি সঞ্চালনা করেছেন, যেখানে তাঁর স্বভাবসুলভ মনোভাব এবং সহজ সরল ভাষা দর্শকের মন জয় করেছে। মঞ্চের প্রতি তাঁর প্রীতি ও দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষমতা তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুদীপ্তা চক্রবর্তী সমাজে লিঙ্গভিত্তিক চাপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “পুরুষ মানেই রোজগার করবে, এটা যেমন বাড়তি চাপ, তেমনই মহিলা মানেই সংসার, এটাও বাড়তি চাপ। ভূমিকা বদলালেই বা সমস্যা কোথায়? মানুষ হিসেবে দেখলে সব সহজ।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের বোঝাতে চেয়েছেন যে লিঙ্গের দায়িত্ব বা সামাজিক ভূমিকা যেভাবেই হোক, মানুষ হিসেবে সমানভাবে দায়িত্ববোধ ও বোঝাপড়া অপরিহার্য।
আরও পড়ুনঃ “দেব টলিউড ইন্ডাস্ট্রির শাহরুখ খান…ওকে অভিনয় শেখাতে হয় না!” টলিউডের মেগাস্টারকে ‘কিং খান’ আখ্যা পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের! কেন তাঁকে নিয়ে ছবি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
সুদীপ্তার এই মন্তব্য কেবল অভিনেত্রী নয়, বরং একজন মানুষ হিসেবে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা, এবং সামাজিক প্রত্যাশার চাপের মধ্যে মানসিক স্থিরতা বজায় রাখা—এই সমস্ত বিষয়েই তিনি এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। টলিউডের দর্শকরা এখন তাঁর অভিনয় এবং ব্যক্তিজীবনের নীতি দুটোই সমানভাবে গ্রহণ করছেন, যা সুদীপ্তাকে আরও প্রিয় করে তুলেছে।






