কথায় বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে আর সেটাই ঠিক হলো পল্লবী দের সঙ্গে বলছেন নেটিজেনরা তার কারণ যে বিস্ফোরক তথ্য কাল থেকে উঠে এসেছে তা মানতে পারছেন না কেউই।প্রথমে মিষ্টি মুখের প্রাণবন্ত স্বভাবের মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিলেন তবে সকলেই কষ্ট পাচ্ছিল কিন্তু যখন তার প্রকৃত স্বরূপ টা জানা গেল তখন হতবাক হয়েছেন তাঁর ভক্তরাই।
প্রথমত সাগ্নিকের পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।সাগ্নিক নিজে টেলিফোন কোম্পানিতে 18 থেকে 19 হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন কিন্তু সেখানে দামি বিলাসবহুল অডি এবং ভক্সওয়াগেন পোলো কিনেছিলেন তিনি। যদিও এগুলি সেকেন্ডহ্যান্ড এবং অডি গাড়িটি আবার নিজের নামে নেই।সেই সঙ্গে যে দামি আইফোন ব্যবহার করতেন সাগ্নিক সেটা অবশ্য জন্মদিনে পল্লবী তাকে দিয়েছিলেন। পল্লবী আর সাগ্নিক একে অপরকে মাম্মা আর পাপা বলে ডাকতেন।কিন্তু পল্লবী যে কান্ডটা করেছেন তা যখন সামনে বেরিয়ে এলো এবার তা মোটেই ভাল কাজ নয়।
সাগ্নিক এর প্রাক্তন স্ত্রী সুকন্যা মান্না এবার মুখ খুললেন। আপনাদের কিছু কথা জানিয়ে রাখা যাক। আমরা আমাদের তরফ এ অনুসন্ধান করে বার করেছি যে দুই হাজার কুড়ি সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুকন্যা এবং প্রত্যুষা মিলে পল্লবীর জন্মদিন সেলিব্রেট করেন। সেখানেই দেখা যায় সাগ্নিককে। সুকন্যাই নিজের হবু বর সাগ্নিকের পরিচয় করান পল্লবীর সঙ্গে।তার কয়েক মাস পরেই রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল সাগ্নিক এবং সুকন্যার কারণ তাদের সাত বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের আলাপ হওয়ার পর দুজনেই একে অপরের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন।
সুকন্যার দাবি যে সাগ্নিকের পরিবার যথেষ্ট অর্থবান এবং সেই জন্যেই পল্লবী সাগ্নিকের দিকে ঝোঁকেন।পল্লবী যখন জানতে পারেন তার নিজের বান্ধবী এবং নিজের হবু বর তাকে ভাবে ঠকিয়েছেন এবং তার অনুপস্থিতিতে মেলামেশা করছে অবাধে তখন তিনি সম্পর্ক থেকে সরে আসেন। বিয়ের নোটিশের সাক্ষী হিসেবে পল্লবীর নাম ছিল কিন্তু পল্লবী তো তার বান্ধবীকে প্রতারণা করলেন।
সুকন্যা স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে, সাগ্নিক অনেক অর্থবান পরিবারের ছেলে। এর আগেও সাগ্নিকের একটা গাড়ি ছিল। সেটা অবশ্য বাবার টাকায় কেনা। কিন্তু সাগ্নিক টাকার জন্য পল্লবীকে খুন করবে এটা হতে পারে না। পল্লবীর বাবার ঝালমুড়ির দোকান স্টেশনে, ওর ভাইও সেরকম কিছু করে না। তাই পল্লবীর পরিবার চালাত সাগ্নিক।
ওর বাবা কী করে খুনের অভিযোগ আনছেন কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সুকন্যা।যে ঐন্দ্রিলার নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেই ঐন্দ্রিলাকে সুকন্যা নিজেও 10-11 বছর ধরে চেনেন। সব থেকে বড় কথা সুকন্যা পল্লবীর মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে পল্লবী সাগ্নিকের সঙ্গে এরকম ভাবে মিশে তখন তার মা জানিয়েছিলেন যে তার মেয়েকে তিনি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না তার কারণ মেয়ে তার কথা শুনবে না।সুকন্যা প্রশ্ন তুলছেন যে যে মা বাবা জানে যে অন্য একজনের হবু বরের সঙ্গে নিজের মেয়ে প্রেম করছে এবং সেটাকে সাপোর্ট করে সে বাবা-মা এখন মুখ খুলছেন কী করতে?