‘বড় হিরোইন হয়েছিস যেন, কে চিনবে তোকে.. রিক্সা করেই বেরোবো!’ দিদি স্বস্তিকাকে ধমকে ছিলেন তার বোন! বাবা বিনোদন দুনিয়ায় অসাধারণ হলেও মা ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ গৃহবধূ! তাই আজও মাটিতে পা রেখেই চলতে চান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় মানেই স্পষ্টভাষী, খোলামেলা এক মানুষ। সিনেমার পর্দায় যেমন নির্ভীক, বাস্তব জীবনেও তেমনই অকপট। সম্প্রতি রিকশা চড়ার একটি স্মৃতি শেয়ার করে ঝড় তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি দেখেই নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, “এই জন্যই ওকে ভালোবাসি!” আবার কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, “এত বড় স্টার হয়েও এমন সোজা মেয়ে!”

স্বস্তিকা লেখেন, তাঁদের পরিবারে কেউই কখনও ‘তারকা’ হয়ে ওঠার ভান করেননি। বাবা সর্বদা বলতেন, “স্টুডিয়োই আমার অফিস।” মা ছিলেন সাধারণ গৃহবধূ, বড় তারকার স্ত্রী হয়েও জীবনযাপন ছিল একদম স্বাভাবিক। সেই একই সহজ ভাব নিয়েই বড় হয়েছেন স্বস্তিকা ও তাঁর বোন। তাই আজও সাধারণ জীবনের সঙ্গে তাঁর টান অটুট।

অভিনেত্রীর কথায়, “আগে জনপ্রিয়তা মানে ছিল রাস্তায় কেউ চিনল কি না। তখন বোনের সঙ্গে কোথাও যেতে হলে রিকশা চড়তে চাইতাম না।” তখনই বোনের খোঁচা—“বড় হিরোইন হয়েছিস যেন, কে চিনবে তোকে… চল, বাড়াবাড়ি করিস না।” সেই একবাক্যই নাকি থমকে দিয়েছিল স্বস্তিকাকে। ব্যাগ দিয়ে মুখ ঢেকে রিকশায় উঠেছিলেন, আর মনে হয়েছিল, “সত্যিই, আমি কে রে?”

তবে সময়ের সঙ্গে মানুষ বদলায়, পৃথিবীও বদলায়। এখন রিকশাওয়ালারা তাঁকে চিনে গিয়ে বলেন, “দিদি, আপনি তো সিনেমায় কাজ করেন, পয়সা লাগবে না।” স্বস্তিকার মতে, আগেকার দিনে মানুষদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হতো, কথা হতো সিনেমা নিয়ে। এখন কেবল সেলফি আর স্ক্রিনের হাসি। বাস্তবের যোগাযোগটা যেন হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

আরও পড়ুনঃ “কেউ খেটে খাওয়ার মানুষের পাশে, কেউ আবার খাটিয়ে নেওয়ার দলে!” ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলদের উদ্দেশ্যে করে কটাক্ষ অভিনেতা চন্দন সেনের!

কোভিডের পর ফের রিকশায় ওঠা শুরু করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, “ওদের রোজগার নেই, ওরাই পাড়ার কুকুরগুলোকে খাওয়ায়। সাধারণ জীবনের সঙ্গে সংযোগ থাকা দরকার।” সম্প্রতি বোনের সঙ্গে রিকশায় ঘুরে তাঁর উপলব্ধি—জীবনকে সহজ করে বাঁচতে হয়, অন্যের ভাবনা নিয়ে নয়। নিজের সুখটাই আসল, বাকিটা? “ধুর, ছাড় তো!”