টলিউডের জনপ্রিয় তথা স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী ‘স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়’কে (Swastika Mukherjee) নিয়ে যেমন বিনোদন জগতে আলোচনা কম হয় না, তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চার শেষ নেই। কখনও নারীর অধিকার নিয়ে সাহসী মন্তব্য, কখনও খোলামেলা পোশাকে ছবি পোস্ট— সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। সম্প্রতি নিজের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে ফের আলোচনার কেন্দ্রে এলেন স্বস্তিকা। কী এমন পোস্ট করলেন তিনি এবার?
সম্প্রতি ফেইসবুকে পোস্ট করা ছবিতে, নীল রঙের অফ শোল্ডার গাউন, গলায় হার আর চোখে চশমা— লুকে তাঁকে দেখে একেবারে মুগ্ধ অনুরাগীরা। তবে সমালোচকদের আক্রমণও পিছু ছাড়ল না! এই পোস্টের ক্যাপশনে স্বস্তিকা লিখেছেন, “জেঠু মার্কা লোকজন এসে ৪৪ বছরের আমাকে বুড়ি বলবে, মন্তব্য করবে। এই বয়সে সমাজ মাধ্যমে এসব করা লজ্জার!” ট্রোলারদের উদ্দেশে কড়া সুরে তিনি আরও লিখেছেন, “যারা কচি বয়সেই নির্লজ্জ থাকে, তারা বুড়ো হলেও একইভাবে নির্লজ্জ থেকে যায়।
তাই এসব নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ফেসবুকের পুলিশ কাকু-কাকিমাদের কথা শুনে নিজের জীবনযাপন বদলানো যাবে না একদম!” শুধু তাই নয়, নিজের শরীর সচেতন জীবনযাপন সম্পর্কেও ওই ক্যাপশনেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বাস্থ্যকর খাবার আর জুসকে তিনি রোজকার রুটিনে এনেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে ‘কমলার রস’, ‘মৌরি-মিছরির জল’, ‘কেলের রস’ এবং ‘হিমালয় থেকে আনা ভেষজ পানীয়’। তিনি বলেন, শনিবার সকালে এগুলো খাওয়ার পর ভেবেছিলেন,
View this post on Instagram
এই অভ্যাসটা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করবেন। তবে তাঁর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, যতই ভালো বার্তা তিনি দিন না কেন, দর্শকরা প্রায়ই শুধু চেহারার দিকেই বেশি মনোযোগ দেন। তারপর যথারীতি শুরু হয় কটাক্ষ এবং মিমিয়ের বন্যা। তবে, এইসব ট্রোলারদের কথায় কেমন প্রতিক্রিয়া দেন স্বস্তিকা? এদিনের পোস্টে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন তিনি। স্বস্তিকার কথায়, তিনি এগুলোকে ‘স্ট্রেস বাস্টার’ ভাবেন। তাঁর মতে, “মানুষ আমাদের এন্টারটেনার বলে, কিন্তু এরা আমার থেকে অনেক বড় এন্টারটেনার।
আরও পড়ুনঃ শুধু ছবি নয়, এ যেন মানবিকতার দৃষ্টান্ত! শিয়ালদহ স্টেশনে অশা’ন্তির পর, রূপান্তরকামীদের সঙ্গে বিশেষ প্রদর্শনী, বাংলা চলচ্চিত্রে নজির গড়ল কাঞ্চনা মৈত্রর আসন্ন ছবি ‘কপাল’! প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমাজ মাধ্যম!
এমন বিনোদন আর কোথাও পাওয়া যায় না।” এমনকি সম্প্রতি এক ভিডিওতে কেউ তাঁকে জোকার বলেছিল, সেই মন্তব্যকেও মজা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে, সমালোচনাও তাঁর কাছে একধরনের খোরাক হয়ে উঠেছে। অনেকে যখন নেতিবাচক মন্তব্যে ভেঙে পড়েন, তখন স্বস্তিকা সেগুলোকে ব্যবহার করেন নিজের মানসিক শান্তি খুঁজতে! কাজ হোক বা ব্যক্তিগত জীবন, তিনি বরাবরের মতোই অকপট এবং আত্মবিশ্বাসী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।