পরনে শুধু টাওয়েল! বাথরুম থেকে বিশেষ ছবি শেয়ার করলেন বং ক্রাশ স্বস্তিকা! মিরর সেলফিতে এই বয়সেও রূপ ফেটে বেরোচ্ছে
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘শিবপুর’ (Shibpur)। সিনেমাটি প্রকাশ পাওয়ার আগে থেকেই বিতর্ক চলছিল। সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালকের মধ্যকার জটিলতা ছিল। পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত হয় অভিনেত্রীকে মানসিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ। নানা বিতর্কের গন্ডি পেরিয়ে গত ৩০ জুন মুক্তি পায় ‘শিবপুর’ নামের সেই ছবি। স্বস্তিকা মুখার্জি (Swastika Mukherjee) দাবি করেছিলেন, ছবির আরেকজন প্রযোজক সন্দীপ সরকার তাকে ইমেলে নানান ধরনের হুমকি দিয়েছে।
ছবি সম্পর্কে স্বস্তিকা বলেন, “কীভাবে পরিচালক আর প্রযোজকের ইগোর লড়াইতে একটা ছবির চৌদ্দটা বাজতে পারে, ‘শিবপুর’ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। পরিচালক বাদ পড়লেন, প্রযোজক অজান্তা সিনহা রায় কোথা থেকে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হয়ে গেলেন জানি না”। যেকোনও বিষয়ে সোজাসুজি কথা বলতে ভালোবাসেন স্বস্তিকা। টলিউড তাঁকে চেনে একজন স্পষ্টবক্তা হিসাবে। প্রেম, ভাঙা বিয়ে, সন্তান হোক বা অন্য কোনও বিষয়- সবেতেই অকপট স্বস্তিকা।
দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে স্বস্তিকাহামেশাই বিতর্কে জড়িয়েছেন, কিন্তু তারপরও সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। টলিউড ছাড়িয়ে এখন আরব সাগর পারেও নিজেকে একজন সফল অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। একদিকে তিনি আবেদনময়ী, অন্যদিকে তাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা বরাবরই নজরকাড়া। আর তাই সকলেরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে উঁকিঝুঁকি বরাবরের।
সাহসী ছবি
স্বস্তিকা প্রায়ই নিজের সাহসী ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে তিনি থেমে যাননি। তারপরও স্বাধীনভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। সর্বদা তিনি নিজেকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। নিজেকে এমনভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেন যা সত্যি অভাবনীয়। এবার তিনি নিজের আরও এক ছবি শেয়ার করলেন। টাওয়াল গায়ে নিজেকে মেলে ধরলেন তার মিরর সেলফিতে। এর মাধ্যমে একটি কঠিন বাস্তবকে সামনে এনেছেন অভিনেত্রী। তোয়ালে জড়ানো তাঁর সেই ছবিতে কাঁধের দুপাশে বিশেষ স্ট্র্যাপ একেবারে স্পষ্ট। গর্বের সঙ্গেই সেই দাগ দেখাতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা।
টাওয়েলে ছবি
ছবিটিতে যতটা না সুন্দর লাগছিল তাঁকে, তার থেকে বেশি সুন্দর লেগেছে তাঁর পোস্ট । একটি সুন্দর বার্তা দিয়েছেন সেই পোস্টে। নিজের অসুন্দর পার্টস গুলোকেও ভালোবাসতে বলেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “বয়স যখন ৪০ ছুঁয়ে যায় তখন আমার স্ত’ন’যুগলও আর আগের মতো নিটোল থাকে না। তখন সেগুলো মোটেই ক্যামেরন ডিয়াজের মতো দেখতে লাগে না, যে মহিলারা ১২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অ’ন্ত’র্বা’স পরে থাকেন তাদের জন্য চিহ্নগুলি হার্টব্রেকের থেকে বেশি সময় ধরে থাকে,, আমার freckles এর সঙ্গে আমি ভালো আছি কারণ এগুলি কোনও ধরণের চর্মরোগ নয় যার জরুরী চিকিত্সার প্রয়োজন বা বয়সের সাথে দেখা যায় না তাই এই লাল দাগগুলো নিয়েই আমি একদম ভালো আছি”।
View this post on Instagram