খাতায় কলমে দেবলীনা এখনও স্ত্রী, হয়নি ডিভোর্স! দুই দশকের ছোট প্রেমিকাকে নিয়ে তথাগতর ‘বেহায়াপনা!’ ‘রাস’ ছবির সাকসেস পার্টিতে তথাগত-আলোকবর্ষার নির্লজ্জ ঢং দেখে ক্ষোভ নেটপাড়ার! ‘আপনি তো কাঞ্চনের থেকেও অধম’ কটাক্ষ নেটিজেনদের

টেলিভিশন থেকে বড়পর্দার পরিচিত মুখ, অভিনেতা-পরিচালক ‘তথাগত মুখোপাধ্যায়’ (Tathagata Mukherjee)-এর ব্যক্তিগত জীবন সব সময়েই খবরের শিরোনামে থেকেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন নতুন সম্পর্কের কথা। ‘রাস’ (Raas) ছবির শুটিং করতে গিয়েই আলাপ হয়েছিল ছবির সহকারী পরিচালক ‘আলোকবর্ষা বসু’র (Alokbarsha Bose) সঙ্গে। সেই আলাপ থেকে গাঢ় প্রেম, আজ তা পরিণত হয়েছে সহবাসে—সে কথাও লুকোননি দু’জনে।

শনিবার ‘রাস’-এর সাফল্যকে ঘিরে আয়োজিত পার্টিতে কালো পোশাকে যুগলকে দেখে উপস্থিত সবারই চোখ টানল। কিন্তু প্রথম স্ত্রী দেবলীনা দত্তের সঙ্গে ২০১২-র বিয়ে! দেড় দশক হতে চলল, অথচ আইনি বিচ্ছেদের দলিলে স্বাক্ষর পড়েনি। সেই সম্পর্ক আইনি ভাবে এখনো অটুট থাকলেও, কাগজ-কলমের বিচ্ছেদ এখনও অধরা। মাঝপথে অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তথাগতর প্রেমের গুজব ছড়িয়েছিল, পরিচালক সেটি ‘ভুয়ো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু আলোকবর্ষাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, দাম্পত্য জীবনের অধ্যায়ের একরকম পাততাড়ি গুটিয়েছে। তিন বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন দেবলীনার থেকে। নতুন প্রেমিকার সঙ্গে সহবাসের কথাও নিজেই ইতিমধ্যে জানিয়েছেন অভিনেতা। বয়সের ফারাক? আলোর থেকে প্রায় কুড়ি বছরের বড় তথাগত—তবে প্রেমের অঙ্কে নাকি বয়স কেবলই সংখ্যা! সম্প্রতি ‘রাস’–এর সাফল্য উদযাপনে কালো পোশাকে যুগল হাজির হন।

ক্যামেরার সামনে তথাগত বলেন, “আলোর মুখের হাসি এমন, যে কোনও রঙেই ওকে মানিয়ে যায়।” পাল্টা আলোকবর্ষা জানালেন, কালো পোশাক বাছাইয়ের কারণ — “তথাগতকে এই রঙে দুর্দান্ত লাগে।” প্রকাশ্যেই একে অপরের প্রতি মুগ্ধতা একটু বাড়তি রোমান্স যোগ করল পার্টিতে। বিয়ে ভাঙেনি, তবু ঘটা করে নতুন ঘর—এ কথা শুনে নেটপাড়া বলছে, “বাহ বাহ, এ তো সত্যিকারের ‘দুই নৌকোয় পা’-র মহাবিদ্যায় সিদ্ধহস্ত!” কেউ বলেছেন, “এখনো বিবাহিত, নির্লজ্জের মতো নেমেছেন নতুন প্রেমে।”

আরও পড়ুনঃ কিরণ-দেবচন্দ্রিমার বন্ধুত্বে ফাটল! কিরণের পোস্টে সায়ন্তর কাছে ফেরা ঘিরে জল্পনায় উত্তাল টলিপাড়া! কিরণের বক্তব্যে দেবচন্দ্রিমার নাম না থাকলেও বার্তা স্পষ্ট! সায়ন্তর কাছে ফিরতেই দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙল?

আবার কেউ খোঁচা দিচ্ছেন, “বছর বাইশের আলোর হাসি দেখে মুগ্ধ হয়ে মনের আলো জ্বালালেন বটে, তবে পুরনো ঘরের বাতিটা এখনও নিভল কোথায়?” সব মিলিয়ে, তথাগত আর আলোকবর্ষার লাভ-স্টোরি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন রসদ। কেউ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, কেউ কটাক্ষ। একদিকে যেমন আলোকবর্ষা মেধার ঝলক দেখাচ্ছেন পর্দার আড়ালে, আর তথাগত ক্যামেরার সামনে-পিছনে সমান স্বচ্ছন্দ—এমনটাই বলছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠরা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।