জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠাই। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে চলছে এই ধারাবাহিক কিন্তু জনপ্রিয়তায় এখনো ভাঁটা পড়েনি।সত্যি কথা বলতে গেলে এখন যেন আরো মানুষ বেশি করে মিঠাই রাখে কারণ বর্তমানে চলা সিরিয়াল গুলোর মধ্যে একমাত্র মিঠাই সেই পুরনো ধারাবাহিক যে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। আর যখন যমুনা ঢাকি শেষ হয়ে যাবে কিছুদিন পরে তখন মিঠাই হবে জি বাংলার যে ধারাবাহিকগুলো চলছে তার মধ্যে থেকে সবথেকে পুরনো ধারাবাহিক।
বর্তমানে লেখিকা শাশ্বতী ঘোষ ধারাবাহিকে নতুন টুইস্ট এনেছেন।লীনা গাঙ্গুলীর মতো তিনি পরকীয়া স্পেশালিস্ট নন কিন্তু তৃতীয় ব্যক্তি তিনি এনে থাকেন।এতদিন পরিবারের মেজ-ছোট সদস্যদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি আনলেও এবার দাদাই আর ঠাম্মির মাঝখানে তৃতীয় ব্যক্তি তিনি এসে একটু শোরগোল ফেলে দিয়েছেন শাশ্বতী ঘোষ। আমরা দেখতে পাচ্ছি সিদ্ধেশ্বর মোদকের ছোটবেলার ক্রাশ ললিতা দেবী উপস্থিত হয়েছেন মনোহরায়।আর সেটা ঠাম্মি একদম সহ্য করতে পারছে না সেইজন্য ললিতা দেবী আসার পর থেকেই ঠাম্মির ব্যবহার অদ্ভুতভাবে পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
তার উপর টেস বুড়ি ঠাকুমার কানে সমানে উল্টোপাল্টা কথা বলে যাচ্ছে দাদাইয়ের নামে।গতকালের এপিসোড দেখানো হয়েছে দাদাই আর ললিতা দেবী মর্নিং ওয়াক করতে গেছিলেন আর সেটা ঠাম্মি জানতে পেরে সেই ভোরবেলা মিঠাইকে নিয়ে রিক্সা করে তাদের পিছু নিয়েছেন। পরে রাস্তায় তাদেরকে ধরে দাদাইয়ের হম্বিতম্বি শুরু করেন ঠাম্মি।
বাড়ি ফিরে ললিতা দেবী নিজের অসন্তোষের কথা জানান এবং গোটা ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সিদ্ধেশ্বর মোদক। আর এই ঘটনাকে কিছু নেটিজেন বলছেন যে ঠাম্মি খুব বাড়াবাড়ি করছে এবার। একটা সম্পর্কের মধ্যে স্পেস কথাটা খুব জরুরী। এত দিনের বৈবাহিক বন্ধন অথচ সেখানে কোনো বিশ্বাস থাকবে না? রিক্সা নিয়ে পিছু ধাওয়া করে রাস্তার মাঝে অপমান করাটা ঠাম্মির কখনই উচিত কাজ হয়নি। তিনি মোদক পরিবারের সব থেকে বয়স্ক সদস্যা। তার কি এই কাজ মানায়?
যদিওবা কিছু নেটিজেন বলছেন যে ঠাম্মির বয়সটা দেখতে হবে। ঠাম্মি একটা একদম ছাপোষা বাঙালি বাড়ির বছর পঁচাত্তরের গৃহবধূ যিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই ফলে স্পেস কী সেটা স্বাভাবিকভাবেই তার জানার কথা নয়।এছাড়াও নিজের স্বামীর সঙ্গে তার ক্রাশ যদি সকালবেলা মর্নিং ওয়াক করতে বেরোয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই একজন বউয়ের টেনশন হবেই। এখানে আধুনিকতার কোন প্রসঙ্গ আসছে না।