“বাবার চাকরি চলে গেল, আর পড়া হলো না আমার। কালকে কি খাবো ভেবে সবাই কাঁদতাম।”— ‘মন ফাগুন’-এর অনুষ্কার ওরফে অমৃতার জীবনের অজানা অধ্যায়, কাঁদাবে আপনাকেও!

বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘অমৃতা দেবনাথ’ (Amrita Debnath) এর অভিনয় যাত্রা যতটা উজ্জ্বল, ততটাই লুকানো আছে এর গভীর কষ্টের গল্প। স্টার জলসার ‘মন ফাগুন’ (Mon Phagun) -এর অনুষ্কা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন, তেমনই তাঁর বাস্তব জীবনের গল্পও চোখে জল এনে দেওয়ার মতো। স্টার জলসার ‘দেবিপক্ষ’ ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হলেও, ‘সন্ধ্যা তারা’ (Sandhya Tara) তেই তিনি প্রথমবার আলাদা করে পরিচিতি পান।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু এই সাফল্যের রাস্তাটা মোটেই মসৃণ ছিল না। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পুরনো ভিডিও নিয়ে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে অমৃতাকে। ভিডিওটিতে ‘দিদি নং ১’ (Didi No.1) -এর মঞ্চে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের কষ্টের দিনগুলির কথা তুলে ধরে অমৃতা বলে, “এমন একটা সময় গিয়েছে যখন পরের দিন কি খাবে, সেটা ভেবেই তাঁর বাবা-মায়ের চোখে জল চলে আসত।

বাবা ভালো চাকরি করতেন না, পড়াশোনার খরচটাও চালাতে পারতেন না।” অভিনেত্রী বলেন যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন তাঁর জ্যাঠামশাই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মনের কষ্ট লুকিয়ে, অনেকবার একা কেঁদে হালকা হয়েছেন তিনি, বাবা-মাকে বুঝতে দেননি। অলিপুরদুয়ারে বড় হয়ে অমৃতা কলকাতায় এসে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও, ২০১৬ সালে আচমকাই বাবার চাকরি চলে যাওয়ায়, স্বপ্ন ভুলতে হয় তাঁকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হয়ে ওঠেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ “পর্দার আর বাস্তবের শ্রীময়ী এর মধ্যে কোনও তফাৎ নেই!” “একে কাজের লোকের চরিত্রেই মানায়, আভিজাত্যপূর্ণ চরিত্র এর নয়”— ‘বুলেট সরোজিনী’তে শ্রীময়ীয়ের অভিনয় দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক! তুলছেন পাল্টানোর দাবি!

আর্থিক অনটনের সেই কঠিন সময়ে না হেরে গিয়ে, সংগ্রামের পথকে বেছে নিয়েছিলেন অমৃতা। একটার পর একটা অডিশন দিয়ে শেষমেশ সুযোগ পান ২০১৭ সালে। তারপর একে একে আসতে থাকে ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব। যদিও শুরুতে খুব বেশি ধারাবাহিকে দেখা যায়নি তাঁকে, কিন্তু তাঁর অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। নিজের মেধা আর লড়াইয়ের জোরেই আজ টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তিনি।