উত্তাল সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদের জল্পনা! বিয়ে ভাঙছে চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্যর, ঘোষণা স্ত্রীর

বাইরে উত্তাল পরিস্থিতি। তারই মাঝে আসছে একের পর এক মন খারাপ করা খবর। যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনার বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে মনখারাপ হয়েছিল গোটা টলিউডের (Tollywood)। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংসার ভাঙনের খবর। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গায়ক ও পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)।

রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় গানে গানে নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা সমাজমাধ্যমে জানালেন গায়কের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনেই শিল্পী, একজন গায়ক। তাঁর স্ত্রী মধুজা ছবি আঁকেন, লেখালিখি করেন। সঙ্গে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে উচ্চপদে কর্মরতা। গুঞ্জনটা বেশ কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে ঘর ভাঙলো অনিন্দ্যের। যদিও প্রকাশ্যে তারা কেউই কখনও এই নিয়ে মন্তব্য করেননি।

গায়কের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই মুম্বইয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে এ সবের মাঝে একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইনি বিচ্ছেদের পথেই এগোলেন যুগল। বিচ্ছেদ ঘোষণার ক্ষেত্রেও মধুজা জানায় জুজুর কথা। তিনি জানান, তাঁদের বিয়ের বিচ্ছেদ হলেও জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি। চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের একটি বিখ্যাত গান ‘জুজু সোনা’ তাঁদের ছেলের জন্মের আগের।

সমাজমাধ্যমে কী লিখছেন স্ত্রী মধুজা?

গায়কের স্ত্রী মধুজা আরও লেখেন, ‘‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দো বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’’

আরও পড়ুন: তিলোত্তমা কান্ডে মুখে কুলুপ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গাঙ্গুলীর! লেখিকা দিদির নীরবতায় অবাক দর্শক মহল!

মধুজা রবি ঠাকুরের গানকে সম্বল করে আরও লিখেছেন, ‘‘মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।’’ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে অনিন্দ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।