টলিউডের জনপ্রিয় ভিলেন কৌশিক ব্যানার্জির প্রাক্তন স্ত্রীকে চেনেন? বিখ্যাত গায়কের কন্যার অভিশপ্ত কাহিনী আজও অজানা! চোখে জল আসতে বাধ্য
গত বছরেই মাকে হারিয়েছেন অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Koushik Bandhyapadhay)। তার প্রায় এক দশক আগেই প্রয়াত হয়েছেন কৌশিক ও প্রসাদ রঞ্জনের বাবা বর্ষীয়ান অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে তাঁর স্ত্রী পরিণীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিনয় করেছিলেন একটি ছবিতে। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই অভিনয় করেছিলেন তিনি।
কৌশিকের চলচিত্রের ঝুলি
খলচরিত্রে অভিনয় করে একসময় টলিপাড়ায় রাজ করতেন কৌশিক বন্দোপাধ্য়ায়।চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি ১০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সিনেমা দাদার কীর্তি, ফটিক চাঁদ, কালপুরুষ, জামাইবাবু জিন্দাবাদ, সোনার সংসার, অগ্নিপরীক্ষা, লাভ এক্সপ্রেস প্রভৃতি। সেই লিস্ট এককথায় অগুন্তিক। এছাড়াও ধারাবাহিকেও তিনি কাজ করেছেন। যেমন, যমুনা ঢাকি, টুম্পা অটোওয়ালি, পঞ্চমী প্রভৃতি।
কে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী?
১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বর্তমান স্ত্রীর নাম লাবনী সরকার। যিনি নিজে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এবং তাঁর একমাত্র পুত্রের নাম সুস্নাতো ব্যানার্জী। তবে অনেকেই আমরা জানি তাঁর এটি দ্বিতীয়বার বিয়ে। তবে প্রথম স্ত্রী কে ছিলেন? তা অনেকেই জানেন না। তবে বর্তমানে প্রাক্তন স্ত্রীর অবস্থা শুনলে আবেগভুত হবেন সকলেই। একসময় কৌশিক ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন শ্যামল মিত্রের কন্যা মনোবীণা মিত্রকে। কিন্তু বর্তমানে মনোবীণা দেবী একজন মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন।
বর্তমানে প্রাক্তন স্ত্রী মনোবীণা দেবীর করুন অবস্থা
বর্তমানে মনোবীণা দেবী বিয়ে, সংসার ও পুত্র সন্তান হারা একজন একাকী মানুষে পরিণত হয়েছেন। সংসারের জটিলতা ও নিজের অসুখ তাঁর সকল সুখ কেড়ে নিয়েছে। ১৯৮৭ সালে জীবনাবসান হয় প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শ্যামল মিত্রের। ছিলেন তাঁর দুই পুত্র শৈবাল, সৈকত ও কন্যা মনোবীণা। দাদা শৈবাল তাঁর দেখাশোনা করতেন কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এক হয়ে যান মনোবীণা। এদিকে সৈকত তেমন সময় দিতে পারেন না। এদিকে স্বামী কৌশিক তাঁর পুত্র সুস্নাতোকে নিয়ে চলে যান, পরে লাবনী সরকারের সঙ্গে বিয়ে করে নতুন করে বিবাহিত জীবন শুরু করেন।
সন্তানহারা মনোবীণা দেবী
অভিনেতা জানান, প্রাক্তন স্ত্রীর অসুস্থতার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। বিবাহ বিচ্ছেদের খরপোষের টাকাতেই চলছিল মনোবীণার জীবন। বিবাহের কিছু বছরের মধ্যেই কৌশিকের সঙ্গে লাবনীর সম্পর্ক হয়। আর তারপর মনোবীণা বাপের বাড়ি চলে আসে। কিন্তু ছেলেকে নিয়ে আসতে দেয় না। কৌশিক জানান, ছেলের নাকি মনেই নেই মনোবীণার কথা। ছেলে লাবনীকেই নিজের মা হিসাবে মানে। আর সে যেতেও চায় না তার মায়ের কাছে। মনোবীণার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার জন্য একটি হোম পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় দাদা শৈবালের বাড়ি। বর্তমানে তিনি বড়োই অসহায়, একা একাই দিন কাটছে তাঁর।