বেশ কিছু বছর আগে থেকে প্রচুর সৃজনশীল জাতীয় বোল্ড ভারতীয় ওয়েব সিরিজ তৈরি করছেন অনেকে। তবে কোথাও গিয়ে বো’ল্ড দেখাতে গিয়ে কেউ কেউ সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। বলিউড থেকে শুরু করে টলিউড সবক্ষেত্রেই কাস্টিং কাউচ নিয়ে একটা সমস্যা দেখা যায়। কেউ এই নিয়ে মুখ খোলে আর কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়। এর আগে বলিউডের মি টু আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে এর জেরে। বাংলায় এখনো সেটা হয়নি মানে এটা নয় যে বাংলায় এই সমস্যাটা দেখতে পায় না অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা।
বাংলা হোক অথবা হিন্দি ভারতের প্রতিটি ভাষায় একের পর এক গজিয়ে ওঠা ওটিটি প্লাটফর্মে শুরু হয়েছে সাহসী ওয়েব সিরিজ। বিছানার দৃশ্যগুলোকে সরাসরি বড় পর্দায় মেলে ধরছে তারা। বিদেশের প’র্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে টক্কর চলছে। ফলে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে যুব সমাজ। যেহেতু এগুলো নিষিদ্ধ হিসেবে দেখানো হচ্ছে তাই তাদের মধ্যে লুকিয়ে দেখার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি জ্ঞানে বা অজ্ঞানে ঝোঁক তৈরি হয়েছে। এই সুযোগে যারা সেগুলো ফিল্ম করছে তারা সেই তারকাদের সহজলভ্য মনে করছে। তাই ভাবছে ডাকলেই বিছানায় চলে আসবে।
যে অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলব তিনি এই সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন সরাসরি। প্রযোজক এবং পরিচালকরা যৌ’ন সামগ্রী সহ প্রাপ্তবয়স্ক এবং জটিল ভাবনাগুলি প্রদর্শন করতে নিজেকে প্রকাশ করার স্বাধীনতা উপভোগ করে ফেলে, এমনটাই জানিয়েছেন ওই নায়িকা। তিনি হলেন অভিনেত্রী সুচরিতা ভট্টাচার্য। বাংলাতেও গত বছর দুই ধরে হাজারের উপরে এমনই বোল্ড ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়ে চলেছে। তাতে কাজ করছে অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রত্যন্ত জায়গার ছেলেমেয়েরা।
অভিনেত্রী সুচরিতা ভট্টাচার্য ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি নেশা থাকায় যুক্ত হন থিয়েটারে। কলকাতার বিভিন্ন নামকরা থিয়েটার মঞ্চে অভিনয় করেছেন। থিয়েটারে যখন কাজ না থাকতো তখন পার্টটাইম মডেলিং করতেন। ২০২০ সালের মার্চে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে চিত্র পাল্টে যায়। রোজগারের টানে যুক্ত হন প্রা:প্তবয়’স্কদের জন্য তৈরি বো’ল্ড ওয়েব সিরিজে। থিয়েটারে অভিনয় করার পরে বো’ল্ড ওয়েব সিরিজে ন’গ্ন হয়ে যৌ’ন দৃশ্যে অভিনয় করার বিষয়ে তিনি বলেন বেঁচে থাকা যেখানে সব থেকে বেশি জরুরি সেখানে সংকোচ কীসের?
বো’ল্ড ওয়েব সিরিজের সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করার আগে যখনই ছোট কোনও সিরিয়াল অথবা সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রডিউসার অথবা কাস্টিং ডিরেক্টরদের কাছে গেছেন, সকলেই আগে বিছানায় শো’য়াতে চেয়েছে। ক্যামেরার পিছনে শুধুমাত্র কাজ পেতে প্রডিউসার অথবা কাস্টিং ডিরেক্টরদের সঙ্গে বিছানা শেয়ার করার থেকে সম্মানের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে যৌ’ন দৃশ্যে অভিনয় করা অনেক ভালো তার কাছে।