টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ‘শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়’ (Saswata Chatterjee) অভিনয়ের থেকে, বরাবরই নিজের স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য দর্শকদের কাছে বেশি পরিচিত। বর্তমানে তাঁর কন্যাও পা রেখেছেন অভিনয়ে জগতে, অভিনেতা সেই প্রসঙ্গেও বলেন যে কোনওদিনই মেয়েকে অভিনয়ে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কারোর কাছে সুপারিশ করেননি। অভিনেতার এই গুন তাঁর বাবা ‘শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়’ (Shubhendu Chattopadhyay) -এর থেকেই পেয়েছেন বলে মনে করেন অনেকেই।
এই প্রসঙ্গে বারবার অভিনেতাও স্বীকার করে নিয়েছে, যে তাঁর বাবাও অনেক বড় অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও কোনোদিন তার হয়ে কাউকে বলেননি। এমনকি একটা সময় পর্যন্ত পরিচয়ও দিতেন না, নিজের ছেলে বলে। যাতে কেউ না মনে করে যে তিনি অভিনেতা হওয়ার সুযোগ ছেলেকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, শ্বাশত প্রথম অভিনয়ে সুযোগ পান রবি ঘোষের হাত ধরেই।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হয়, অভিনয়ে এই বাস্তবতার প্রকাশ এবং সাবলীলতার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? শাশ্বত বলেন,”যে কোনও নতুন কাজের প্রথম দিন গিয়ে সবটা অনুভব করে নেই, ওই দিনটা কেটে গেলেও বুঝি এরপর কি করতে হবে। সেই বুঝে পরবর্তী দিন থেকে বিপরীতে অভিনয় করা ব্যক্তিত্বদের ভঙ্গিকে মাথায় রেখে, আমিও তাঁরই মতো ভঙ্গিতে অভিনয় শুরু করি।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বাবার এক অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে শুভেন্দুর কোনও এক ছবির শ্যুটিং চলকালীন, উত্তমবাবু তাঁকে জিজ্ঞেস করেন,”স্তানিস্লাভস্কি অভিনয় পদ্ধতিটি ঠিক কী শুভেন্দুবাবু?” উত্তরে অভিনেতার বাবা জানান,”যে কোনও চরিত্রকে ব্যতিক্রমী হিসেবে তুলে ধরা, আর পাঁচটা চরিত্র থেকে আলাদা করতে যে পদ্ধতি ব্যাবহার হয় তাকেই এটা বলে।”
আরও পড়ুনঃ শুভর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নাজেহাল মোহনা! এদিকে, শুভর রূপে আদির ঘনিষ্ট হল মোহনা! শুভ কী আদৌ পারবে এই মোহনার মুখোশ টেনে খুলে ফেলতে?
প্রত্যুত্তরে উত্তম কুমার বলেন,”এটাতো আমি আগে থেকেই ভাবি, তেমন করেই চরিত্রগুলিকে গড়ে তুলি।” তাঁর এই উত্তর শুনে শুভেন্দু বলেন,”সবাই তো আর আপনার মতো নন কিনা। সবাই তো আর বিদ্যাসাগরও নন যে মাইলফলক দেখে ১-২ শিখবে।” অভিনেতার এমন বক্তব্যে প্রকাশ পায়, যে তাঁর বাবাও কতটা স্পষ্ট বক্তা ছিলেন। নিজের বাবার মতোই, অভিনেতাও একই পথে হাঁটছেন। তবে সময়ই বলবে, আদেও এই গুন অভিনয়ে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলছে!
“দুই বাচ্চার মা…২০২৫ এ ধূমকেতু হলে নিতাম না!”— ছবি হিট হতেই বদলে গেলেন দেব, শুভশ্রীর অবদান ভুলে গিয়ে মাতৃত্বকে করলেন হেয়! “অপমান করার সাহস কে দিয়েছে? এক মাকে অপমান মানে নিজের মাকেও অপমান।” “আগে মানুষ হও, তারপর অভিনেতা বা প্রযোজক হও”— কটাক্ষ নেটপাড়ার!