সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন বিনোদন জগৎ মানেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সঙ্গে রাতারাতি শিল্পীরা হয়ে যায় প্রচুর অর্থ প্রতিপত্তির মালিক। কিন্তু, এই ধরনের ভাগ্য সবার হয় না। অনিশ্চিত কেরিয়ারের মধ্যে অন্যতম হল এই বিনোদন দুনিয়া।
কিছুটা এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করেছেন টলি অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। বাংলার দর্শকেরা এই অভিনেত্রীকে ত্রিনয়নী নামেই চেনে। এক সময়ের ধারাবাহিকের জনপ্রিয়কে অভিনেত্রীকে আজ প্রায় অনেকদিন হল পর্দায় দেখা যায় না। তবে, অভিনেত্রীর দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় জানা যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে অভিনেত্রীর ছবি ‘আমার বস’ আসতে চলেছে প্রেক্ষাগৃহে। শ্রুতিকে ছোটো পর্দায় শেষ দেখা গেছে জি বাংলার ‘রাঙা বউ’ ধারাবাহিকে। এই সিরিয়ালের পর অভিনেত্রীকে দেখা গেছে ডাইনি ওয়েব সিরিজে। তাছাড়া, আর তেমন কাজের সুযোগ পায়নি স্বর্ণেন্দুপত্নী।
অভিনেত্রী আসন্ন সিনেমার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ছোট পর্দা আমার সব। ওখান থেকেই শুরু আমার। ফলে, ছোট পর্দাকেও কোনও ভাবেই অবহেলা করতে পারব না। আমার মতো চরিত্র যখন কেউ লিখবেন তখন অবশ্যই করব। সে রকম কেউ লেখেননি এখনও পর্যন্ত। অনেকেই অনেক চরিত্রে আমায় ভেবেছেন। আমার মনে হয়েছে, আমি সে গুলোর যোগ্য নই। তাই আমি তাই মুখিয়ে আছি। ছোট পর্দা, ধারাবাহিকে অভিনয়ই আমার শিকড়। আপনাদের মাধ্যমে অনুরাগীদেরও বলছি, আমায় ফেরালেই আমি ফিরব”।
আরও পড়ুনঃ দুর্নিবার গতিতে ছুটছেন অরিজিৎ, এদিকে ‘ফেম গুরুকুল’-এর বিজেতা হয়েও লাইম লাইটের আড়ালে রূপরেখা! বলিউড থেকে পেয়েছেন উপেক্ষা, ১৫ বছরের স্ট্রাগল জীবন নিয়ে বি’স্ফো’রক গায়িকা
শ্রুতি আরও বলেন, “আমি প্রচণ্ড আত্মনির্ভরশীল। প্রায় দেড় বছর আমার সে রকম কোনও উপার্জন নেই। অথচ, আমি-মা-বাবা— তিন জনের খরচ চালানোর দায়িত্ব আমার উপর। খুবই স্ট্রাগলিং পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ‘আমার বস্’ দেড় বছর আগের একটি শুটিং। তার পর হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘ডাইনি’ করেছি। এখন আর কিন্তু কাজ নেই। কিছু পেতে গিয়ে কিছু তো ছাড়তেই হবে। প্রথম দিনই সাহানা দত্ত আমায় নায়িকা বানিয়ে দিয়েছিলেন। তখনও আমায় লাইন দিয়ে অডিশন দিতে হয়নি। প্রায় বাড়ি বসে, এক কথায় কাজটা পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই মনে হয়, এই স্ট্রাগলটা আমার দরকার। বড় পর্দায়, সিরিজ়ে নিজেকে প্রমাণিত করতে গেলে এই লড়াই করতে হবে”।