টলি পাড়া আবারও আলোচনায়। গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে একটি রেস্তরাঁয় বসে ‘বিফ স্টেক’ খাওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী এবং উদ্যোগপতি স্বরলিপি। তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা এবং কটু মন্তব্যের ঝড়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যক্তিস্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে। একই সঙ্গে মাঠে গীতাপাঠ চলাকালীন দুই প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনাও নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে। আমিষ প্যাটিস বিক্রি করাই নাকি তাঁদের অপরাধ। এই সব ঘটনা মিলে আবারও সামনে এসেছে খাবার ধর্ম এবং রাজনীতির মিশ্রণ নিয়ে প্রশ্ন।
জুন মালিয়া এবং শ্রীলেখা মিত্র এই প্রবণতার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁদের মতে ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকদের মৌলিক স্বাধীনতা থাকা উচিত। কে কী খাবে বা পরবে সেই সিদ্ধান্ত ব্যক্তির নিজের। জুন জানান দেশের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ বহু দিন ধরেই বাড়ছে এবং এখন তা বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। শ্রীলেখার কথায় এই পরিস্থিতি সমাজকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে এবং দ্রুতই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার।
তবে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এই বিতর্কে একেবারেই ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর দাবি মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার আসল অর্থ ভুলে গিয়েছে। তিনি বলেন হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী গোমাংস খাওয়া ঠিক নয় এবং এতে অনেকের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। যেমন মুসলমানেরা শুয়োরের মাংস খান না সেভাবেই হিন্দুদের ওপরও কিছু নিষেধ থাকে। যদিও তিনি স্বরলিপিকে কটূক্তি করার পক্ষপাতী নন কিন্তু প্রতিক্রিয়ার কারণ তিনি ধর্মীয় অনুভূতি বলে মনে করেন।
এই ঘটনার মাঝেই আবার মনে পড়েছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পুরনো বিতর্ক। বাংলাদেশে এক রান্নার অনুষ্ঠানে গোমাংস রান্না করা হয়েছিল এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁকেও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। ফলে বার বার একই বিষয়ে তোলপাড় হচ্ছে সমাজ যা ভাবাচ্ছে টলি পাড়ার বহু মানুষকে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভাবিনি প্রত্যাশা করবে, ডাকিনি কারণ নাম ভুলে গেছিলাম!’ ‘সবার গল্পে নায়ক হওয়া যায় না…নাম করলেই ভালো, না করলেই রাগ-অভিমান, বিতর্ক!’ জিৎ বিতর্কে দেবের তীর্যক মন্তব্যে আগুনে ঘি! মেগাস্টারের বিস্ফো’রক দাবি উত্তাপ বাড়াল টলিউডে!
সবশেষে স্বরলিপি নিজে এই পরিস্থিতিতে ব্যতিব্যস্ত। একটি সাধারণ ছবি পোস্ট করার পর এমন প্রতিক্রিয়া আসবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। তাঁর মতে এই পরিবেশ আগামী প্রজন্মের কাছে ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করছে এবং সমাজ কোথায় দাঁড়িয়ে তা ভেবে তিনিও উদ্বিগ্ন।






