“যদি কেউ আমার থেকে দূরে গিয়ে খুশি থাকে, তাহলে আমি তাতেই খুশি। সম্পর্ক নিয়ে অকপট পর্দার স্বতন্ত্র সুদীপ মুখার্জী!

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সম্পর্ক নিয়ে আমাদের ভাবনা অনেকটাই বস্তুগত হয়ে উঠেছে। আমরা প্রায়ই ভুলে যাই, সম্পর্ক মানেই শুধু শারীরিক উপস্থিতি নয়, বরং মানসিক সংযোগ। যখন কাছের মানুষ হঠাৎ করেই দূরে সরে যায়, তখন হৃদয় কেঁদে ওঠে, কিন্তু কিছু সম্পর্ক সেই দুরত্বেই যেন আরও বেশি পরিণত হয়। এমন অনেক অভিজ্ঞতা আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়, যা আমাদের ভাবতে শেখায়— ভালোবাসা কি শুধুই একে অপরের পাশে থাকা?

আমরা অনেকেই জানি রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম কোনোদিন পূর্ণতা পায়নি, তবুও তারাই আজও প্রেমের চিরন্তন প্রতীক। জীবনের বাস্তবেও আমরা এমন কিছু সম্পর্কের মুখোমুখি হই, যা অসম্পূর্ণ হলেও আমাদের ভেতরে গভীর ছাপ ফেলে। এমন অনুভব থেকেই তৈরি হয় এক একান্ত আত্মিক যোগাযোগ, যা সময়ের সাথে পাল্টে যায় না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় অভিনেতা সুদীপ মুখার্জীও ঠিক এমনই কিছু উপলব্ধি ভাগ করে নিলেন, যা মন ছুঁয়ে যায়।

সাক্ষাৎকারে সুদীপ মুখার্জী বলেন, “যদি কেউ আমার থেকে দূরে গিয়ে খুশি থাকে, তাহলে আমি তাতেই খুশি।” এই বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি এক গভীর মানসিক পরিণতির মধ্যে দিয়ে গেছেন। সম্পর্কের ভেতরে যখন শুধু শরীর নয়, মনও কথা বলে, তখনই তা হয়ে ওঠে বাস্তব। তিনি জানান, অনেক সম্পর্কই আমাদের জীবনে আসে এবং বিভিন্ন কারণে দূরে চলে যায়, কিন্তু ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তাহলে সেই দূরত্বেও একধরনের গভীরতা থাকে।

সুদীপ এই প্রসঙ্গে রাধা ও কৃষ্ণ, রোমিও ও জুলিয়েটের অসম্পূর্ণ প্রেমের কথা টেনে আনেন। তিনি বলেন, “সম্পর্কে যদি কিছু অপূর্ণতা থাকে, সেটাই হয়তো তার সৌন্দর্য। প্রত্যাশার মধ্যেই তো আকর্ষণ লুকিয়ে থাকে।” দুর্গাপুজোর মতো উৎসবের কথা বলেও তিনি বোঝান, পরিপূর্ণতার চেয়ে অপেক্ষার আনন্দ অনেক সময় বেশি।

আরও পড়ুনঃ বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী, শ্বেতার বাড়িতে রুবেলের জন্য ছিল এলাহি আয়োজন! শ্বেতার মায়ের হাতে রুবেলের রাজকীয় ভোজ! কেমন কাটল শ্বেতা-রুবেলের প্রথম জামাইষষ্ঠী?

সাক্ষাৎকারের একেবারে শেষে সুদীপ মুখার্জী বলেন, “প্রতিভা হল ঈশ্বরপ্রদত্ত উপহার, তা যত্ন করে গড়ে তুলতে হয়।” তিনি জানান, তিনি নিজেও এমন কিছু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন, যারা নিজেদের প্রতিভাকে সমাজের সামনে তুলে ধরতে চায়। তার মতে, আত্মনির্ভরতা অর্জনের পথ তৈরি হয় সেই প্রতিভাকে চর্চা করার মধ্যেই। সুদীপের এই মানবিক ও আবেগঘন কথাগুলি শুধুই একজন অভিনেতার অভিজ্ঞতা নয়, বরং বর্তমান সমাজের মননের প্রতিচ্ছবি।