টলিউডের প্রয়াত অভিনেতা ‘অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের’ (Abhishek Chatterjee) কন্যা ‘সাইনা চট্টোপাধ্যায়’ (Saina Chatterjee) সম্প্রতি অভিনয় জগতে পা রেখেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’- (Anurager Chhowa) র মাধ্যমে। অভিনয়ের পাশাপাশি সাইনা এখন পড়াশোনার দিক দিয়েও বেশ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছেন, কারণ সে বর্তমানে দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু স্কুল ও ধারাবাহিকের ১৪ ঘণ্টার শুটিং মিলিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে সে যে চাপে পড়ছে, তা স্পষ্ট বুঝতে পেরে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর মা ‘সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়’ (Sanjukta Chatterjee)।
প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় মেয়ের ভবিষ্যৎকে মাথায় রেখেই পেশাগত এবং শিক্ষাজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইলেন এক ভিন্ন পথে। তিনি মেয়ের জন্য প্রথাগত স্কুলিংয়ের পরিবর্তে বেছে নিলেন ‘হোম স্কুলিং’। এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে সংযুক্তার যে ভাবনা — সন্তান যেন নিজের শখ, পছন্দ ও প্রতিভার বিকাশের জন্য যথেষ্ট সময় পায়। বিদেশি বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এমন এক ব্যবস্থার মাধ্যমে সাইনা এখন নিজের সময় অনুযায়ী অনলাইনে পড়াশোনা করছে।
যেখানে না আছে পরীক্ষার অতিরিক্ত চাপ, না আছে সময়সীমার কড়াকড়ি। সংযুক্তা বলেন, “হোম স্কুলিংয়ের সুবিধা হল, এটি শিশুদের উপর কোনও রকম একঘেয়ে রুটিনের চাপে না ফেলে বরং প্রতিদিনের পড়া ও অ্যাসাইনমেন্ট গুলো শিশু নিজে ঠিক করে নিতে পারে তার সুবিধেমতো সেই দিকে বেশি করে নজর দেয়।” ফলে একইসঙ্গে কাজ, শেখা ও বিশ্রাম সবটাই চলতে পারে ভারসাম্যের সঙ্গে, সাইনার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরে সে যেমন খুশি, তেমনি তাঁর মা ও সন্তুষ্ট।
সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ের মতে, মেয়ের উপর কোনওরকম অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ না করাই তাঁর প্রথম লক্ষ্য। একজন মা হিসেবে তিনি চেয়েছেন সন্তান যেন নিজের ইচ্ছেমতো বেড়ে ওঠে। সাইনার মধ্যে ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল, বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেই সে এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছে। তাই মেয়ের এই দুই জগৎ— পড়াশোনা ও অভিনয়, দুটোই সমান গুরুত্ব পাক, এই ভাবনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুনঃ ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে ভাই-বোনের ভালোবাসার অটুট বন্ধন! নিজের জন্মদিনে ছেলের থেকে বিশেষ উপহার পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন কোয়েল মল্লিক! মায়ের জন্মদিনে কি বিশেষ উপহার দিল কবীর?
বাবার স্মৃতি ও প্রেরণা নিয়ে সাইনা এখন ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজের কেরিয়ার গড়ে তোলার পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সে নিজেকে তৈরি করছে আলাদা এক পদ্ধতিতে। এমন সাহসী সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন নজর কাড়ছে, তেমনি অনেকে এটিকে ভবিষ্যতের শিক্ষাপদ্ধতির বিকল্প পথ হিসেবেও দেখছেন। সাইনার এই যাত্রা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উদাহরণ হতে পারে বহু মানুষের কাছে। আপনাদের কি মতামত? জানতে ভুলবেন না!