আজকাল করোনা বিধি নিষেধ সেরকম ভাবে না থাকলেও মানুষজন সন্ধ্যাবেলা যেন আর বাইরে বের হতে চান না তার কারণ দীর্ঘ দু বছরের অভ্যাসে এখন টিভির সামনে বসে থাকাই মানুষের দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই এখন সন্ধ্যাবেলা হলেই মানুষ সিরিয়াল দেখতে বসে পড়েন আর সিরিয়াল নিয়ে জিবাংলা এবং স্টার জলসার টক্কর ভালোভাবেই উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ।
বেশ কয়েক মাস আগে একসঙ্গে অনেক নতুন ধারাবাহিক নিয়ে এসেছিল জি বাংলা। তাদের মধ্যে উমা অন্যতম। গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে যে গয়না বড়ি বেচে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে তার রাজ্যের বড় ক্রিকেট খেলোয়াড় হয়ে ওঠার গল্প হলে উমা। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে তাকে অভির বাড়ির বউ হয়ে যেতে হয়।
এরপর শুরু হয় সাংসারিক কূটকচালি। যা দেখে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন দর্শকরা। একদিকে আলিয়া এবং অন্যদিকে অম্বরিশ ও শুকতারা দেবীর উমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিষোদগার এবং ষড়যন্ত্র মানুষকে বিরক্ত করে তোলে। একটা সময় এমন দাঁড়ায় যে ক্রিকেট খেলাটাই সিরিয়াল থেকে সরে যায়। ঠাকুরমা শুধু প্রমাণ করতে ব্যস্ত যে সে কীভাবে অভির বাড়ির যোগ্য বউ হয়ে উঠবে।
যদিও এরপরে ক্রিকেট খেলা ফিরে আসে, তবে আলিয়া অন্যায় ভাবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে ফাঁসিয়ে দেয় উমাকে। এরপর উমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয় তবে নিজের বাড়িতেও তার জন্য জোটে অপমান। এরমধ্যে আবার অভির এক্সিডেন্ট হয় তার জন্য উমার শাশুড়ি অমৃতা উমাকেই দায়ী করে।
তবে এবার দেখা যায় যে আলিয়া মাঠে নেমেছে আচার্য বাড়ির বউ হওয়ার জন্য। সে ষড়যন্ত্র করে উমাকে অভির জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন সে চাইছে এই সুযোগে আচার্য বাড়ির বউ হয়ে যেতে।তাকে শুকতারা দেবী এই ব্যাপারে সাবধান করলেও সে শোনে না। বরং শুকতারা দেবীর দিকে আঙ্গুল তুলে সে বলে অভি শুধুমাত্র তার, অভিকে শো অন্য কারোর হতে দেবে না এবং তার পথে অন্য কেউ আসলে তাকে সে ছেড়ে দেবে না।
এতোটুকু এপিসোড দেখেই হাঁপিয়ে উঠেছেন দর্শকরা। এমনিতেই উমার টিআরপি রেটিং ধীরে ধীরে নিচে চলে যাচ্ছে। তার ওপর এই একঘেয়ে ষড়যন্ত্রর ট্র্যাক মানুষের আর ভালো লাগছে না।তাই কমেন্ট বক্সে অধিকাংশ মানুষই বলছেন যে বন্ধ করুন এই সিরিয়ালকে, আর নেওয়া যাচ্ছে না।