সুচিত্রা সেন এবং উত্তম কুমার। টলিউডের এক অবিস্মরণীয় জুটি। এই জুটি কোনদিন বাঙালি ভুলতে পারবে না। পর্দায় দুজনের রোমান্স বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। এই জুটিকে নিয়ে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া আর কৌতূহল কোনওদিনই কোনদিনই শেষ হওয়ার নয়।
যদিও উত্তম কুমার ছাড়াও পর্দায় আরো অনেক নায়কের সঙ্গে ধরা দিয়েছেন সুচিত্রা সেন তবুও উত্তম কুমার ছাড়া সুচিত্রা সেনকে কল্পনা করা যায় না। আবার উল্টোটাও সত্যি। দুজন যেন বড় পর্দায় একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন ৩০টিরও বেশি ছবি, যার প্রায় সবগুলোই বক্সঅফিসে ‘সুপারহিট’ হয়েছে। পঞ্চাশ,ষাট ও সত্তর—এই তিন দশক রুপালি পর্দায় তো ছিলেনই, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ডিভিডি-ওয়েবেও উত্তম-সুচিত্রা জুটি জনপ্রিয় এখন জেনারেশনের কাছেও।
কিন্তু এই রোম্যান্টিক জুটির সেটের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্ক কেমন ছিল? ধরেই নেওয়া হয় তাঁদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না। তার কারণ মাঝে আরো দুই ব্যক্তিত্ব ছিলেন সুপ্রিয়া সেন এবং গৌরী দেবী। তবে সুচিত্রা সেন এবং উত্তম কুমারের প্রেম কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। প্রথম হিট ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’।
তবে বেশ কিছু জায়গায় এমনটাও জানা যায় যে দুজন খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। দুজন এতটাই বন্ধু ছিলেন যে দুজনের ইগো কখনও প্রকাশ পেত না। কোনদিন ঝগড়া হয়নি দুজনের মধ্যে এমনটাই শোনা যায়।
কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে উত্তম কুমার একবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনকে। তিনি সরাসরি মহানায়িকাকে প্রশ্ন করেছিলেন আমাদের বিয়ে হলে কেমন হতো?
কিন্তু সুচিত্রা সেন শুধু মহানায়িকা নন, অপার ব্যক্তিত্বের অধিকারীনি। তাই সেই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা। উত্তরে সরাসরি সুচিত্রা সেন বলে দিয়েছিলেন যে একদিনও সংসার টিকতো না। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে মহানায়িকা বলেছিলেন উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একে অপরের থেকে। তাই সেখানে সংঘাত হবেই। তার উপর দুজন দুজনের ব্যক্তিগত সাফল্য চাইবে সব সময় মনে প্রানে। এতে সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য।