৪১ টা বছর পেরিয়ে গেছে তিনি চলে যাওয়ার। তবু আজও বাঙালির মননে একইভাবে থেকে গেছেন উত্তম কুমার। অভিনয় শুধু নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বও এখনো সেই একইভাবে আকর্ষণীয় থেকে গেছে বাঙালিদের কাছে। পর্দায় ফুটে ওঠা সেই গভীর দৃষ্টি ও রোম্যান্টিক হাসি দেখে সেদিনও যেমন আপামর বাঙালি মুগ্ধ হতো, আজও ঠিক একইভাবে ঝড় তুলতে পারেন তিনি।
১৯৫৩-তে তাঁর অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ দাগ কাটলো প্রথম। এর আগেও ৭টা সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি কিন্তু সব ফ্লপ। ৫৪ বছর বয়সেই বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন মোট ২১০ টিরও বেশি ছবি যা খুব কম তারকা এখন অবধি করতে পেরেছেন।
আজ সেই উত্তম কুমারের জন্মদিন। আর এমন সুন্দর একটি দিনে তাঁর সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য আজ রইল আপনাদের জন্যে। তাঁর রসনাতৃপ্তি ছিল অবাক করার মতো। সুপ্রিয়া দেবীর হাতের রান্না ছিল তাঁর খুব প্রিয়। বিবাহবার্ষিকী হোক বা বাড়ির ছোট কারও জন্মদিন, পুজো হোক বা দোল কিছুই মিস করতেন না উত্তম। স্টুডিয়োতে সুপ্রিয়া দেবী প্রায়ই স্যুপ বানিয়ে আনতেন যেটা উত্তমের খুব ভালো লাগতো খেতে।
কিন্তু অদ্ভুতভাবে তিনি যাই খান না কেনো শেষ পাতে মিষ্টি চাই। যে সে মিষ্টি নয়। একমাত্র রসগোল্লা দিয়েই শেষ খাবার খেতেন। তবে অনেকেই জানে না এই মিষ্টি খাওয়ার মধ্যে ছিল একটা অন্য রকমের চমক।জানলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। কারণ এমন অভ্যেস সাধারণত দেখা যায় না।
সেটে সব খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খেতেন। কিন্তু সোজাসুজি নয়। মহানায়ক রসগোল্লা খেতেন নুন দিয়ে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই ছিল মহানায়কের অদ্ভুত একটা অভ্যাস। সরাসরি চিনি বা মিষ্টি খেলে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে। তাই এমন করতেন অভিনেতা। তাঁকে দেখে সুপ্রিয়া দেবীও নুন ও লেবুর জল দিয়ে রসগোল্লা খেতেন। খেতেও নাকি খুব ভালো লাগতো। স্বাদ একদম পাল্টে যেত।