টলিউডে যাঁর প্রভাব অনস্বীকার্য, চলে গেলেন বহুমুখী প্রতিভার এক স্তম্ভ! পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃ’ত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড!

বিনোদন দুনিয়ায় ফের নেমে এল শোকের ছায়া। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে যিনি মঞ্চ ও পর্দা মাতিয়েছেন তাঁর প্রয়াণ যেন এক অপূরণীয় ক্ষতি। একাধারে খল চরিত্র, সহকারী চরিত্র কিংবা চরিত্রাভিনেতা— সবেতেই যিনি ছিলেন সাবলীল, সেই কিংবদন্তিকে হারিয়ে গভীর শোকের আবহ রয়ে গেল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর নিঃশব্দ প্রস্থান মনে করিয়ে দিল, এমন প্রতিভা যুগে যুগে আসে না।

দর্শক তাঁকে যেমন পর্দায় দেখেছেন, ঠিক ততটাই শক্তিশালী ছিলেন তিনি থিয়েটার মঞ্চেও। অভিনয়ে ছিল না কোনও ধরণের অলসতা বা ছাপোষা ভাব। প্রতিটি চরিত্রে তিনি এনেছেন প্রাণ। একদিকে যেমন খলনায়কের তীব্রতা, অন্যদিকে সহানুভূতিশীল চরিত্রের আবেগ— দুই মেরুর এই সংমিশ্রণই তাঁকে করে তুলেছিল অনন্য। তাঁর অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে একাধিকবার সম্মানিত হয়েছে আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।

মঞ্চ থেকে সিনেমা, আঞ্চলিক ভাষা থেকে হিন্দি— প্রতিটি জায়গাতেই তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘সরকার’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর দৃশ্য আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। এত বছরের কেরিয়ারে ৭৫০-এরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু সংখ্যায় নয়, গুণেও তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। তাঁর কাজের বিশালতা এবং ব্যতিক্রমী শৈলী তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক নন্দি পুরস্কার।

তবে তিনি শুধু অভিনয়ের মঞ্চেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ১৯৯৯ সালে রাজনীতির অঙ্গনেও পা রাখেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়বাদা থেকে বিধায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ পাঁচ বছর। একাধারে জনপ্রিয় অভিনেতা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন এক ভিন্ন পরিচয়। এই বহুমুখী পরিচয় তাঁকে এনে দিয়েছিল দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মান, পদ্মশ্রী।

আরও পড়ুনঃ চুপিসারে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রূপা ভট্টাচার্য! পর্দার খলনায়িকা, এবার বাস্তবে পাতলেন সংসার! দীর্ঘদিনের একাকীত্ব কাটিয়ে কার হাত ধরলেন অভিনেত্রী?

প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি অভিনেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর চলে যাওয়ায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। শ্রীনিবাস রাও শুধু তেলেগু চলচ্চিত্রের নয়, সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবেন। তাঁর অবদান এবং স্মৃতি চিরকাল রয়ে যাবে সিনেপ্রেমীদের হৃদয়ে।