Rupanjana Mitra: টলিপাড়ার বর্তমানে বহু চর্চিত এবং জনপ্রিয় তারকা জুটি তারা। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, আলাপ। আদান-প্রদান হল বার্তা, ভাবানুভাব। তারপর শুরু হয় প্রেম। টানা ৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর হঠাৎ-ই তারা নিয়ে ফেললেন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত, বিয়ে। গতবছর ডন বস্কোতে তারা সেরেছিলেন বাগদান। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে আইবুড়োভাত। ১৯ এপ্রিল অর্থাৎ আজই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় জুটি রূপাঞ্জনা মিত্র(Rupanjana Mitra) এবং রাতুল মুখার্জী ( Ratul Mukharjee)।
আজ রাজারহাট নিউটাউনের একটি হোটেলে অ’গ্নিসা’ক্ষী করে সাত পা’কে বাঁ’ধা পড়বেন তারা। যদিও রেজিস্ট্রি এবং রিসেপশন দুটোই হবে আজই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর এটি প্রথম বিবাহ নয়, এর আগে রেজাউল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন হঠাৎই ভে’ঙে যায়। এরপরই রাতুলের সঙ্গে সম্পর্কে আসেন রূপাঞ্জনা। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বিয়ে এবং নিজেদের জীবনের খুঁ’টিনাটি তারা তুলে ধরেছেন সকলের সামনে।
অভিনেতা জানিয়েছেন তাদের বন্ধুত্ব ৬ বছরের, করোনার আগে তাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল। যদিও অনেকেই মনে করেন তাদের দেখা সেটে হয়েছে। কিন্তু না, অভিনেতার মতে, একটি রেস্তোরাঁয় দেখা করেছিলেন তারা। সময়টা ছিল শীতকাল। একটা কালো লং সোয়েটার পড়ে রূপাঞ্জনাকে স্লো মোশানে আসতে দেখেই মুগ্ধ হয়েছিল রাতুল। যদিও তিনি বলেছেন “আমার কখনও খুব বেশি ভাবিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে। ৫ ওভার করে খেলেছি। তবে আমরা শুরু থেকেই বুঝেছিলাম আমরা মেড ফর ইচ আদার। আমারাদের দুজনেই পছন্দ অনেক মেলে।”
ছেলে কি জানে বিয়ের কথা? অভিনেত্রী কথায় “ওর থেকে কিছু লুকানো নয়নি। সবটাই একসঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গে ওর সম্পর্ক খুব ভালো। আমরা যখন প্রথমবার একে অপরের সঙ্গে দেখা করি আমি ওকে আমার বন্ধুর কথা বলেছিলাম। রিয়ান ওকে খুব আপন করে নিয়েছিল। ওরা একে অপরকে চ্যাম্পস বলে ডাকে। আমি যেহেতু রিয়ানকে বকা দিই এখন ওর সব আবদার রাতুলের কাছে। আমি দেখেছি, ও ভালো ভালো ওয়েব সিরিজ দেখে সিনেমা দেখে। এবং ওর বন্ধুর বাবা মায়েরাও চিন্তাধারার দিক থেকে খুব আধুনিক। ওকে আমার বলেছি পুজো আছে। কারণ বিয়েটাও একপ্রকার পুজোই।”
আরো পড়ুন: দীপার জীবনে ভালো’বা’সার অনু’ভূতি! প্রথমবার ডে’টে অর্জুন-দীপা! বিয়ে ভে’স্তে দিতে জোর পরিকল্পনা কু’ট’নি পৃথা! কি হবে পরিণতি?
তবে অভিনেত্রী খানিকটা হেসেই বলেছেন ট্রোলিং নিয়ে বলেছেন “আচ্ছা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এই রা’গ কেন? আমার ঠাকুমা ঠাকুরদার থেকে ১৮ বছরের ছোট ছিল। কিন্তু ওঁদের মধ্যে ভালোবাসার কোনও খামতি ছিল না। আগের মানুষ মনে করতেন একটি বয়সে বড় হলে তার থেকে আরেকজন শিখতে পারবে। কিন্তু শেখাটা তো উভয়দিক থেকেই সম্ভব। একটা ছেলে বড় হলে সম’স্যা নেই কিন্তু মেয়ে বড় হলেই আপত্তি! আমি জানিনা কেন।” অভিনেত্রী ও বলেছেন তারা মুম্বাই থেকে গোয়া যাবেন এবং যেতে পারেন তাডোবা। যদিও পরে পরিকল্পনায় আসতে পারে পরিবর্তন। সবটাই হবে তাদের ছেলেকে মাথায় রেখে। তাদের আসন্ন জীবনের জন্য রইল শুভেচ্ছা।
View this post on Instagram