বরণের তিথিকে মনে আছে? অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী পাল’কে কি ধারাবাহিকে দেখতে চান আপনারা?

বাংলা টেলিভিশনের (Television) এককালীন জনপ্রিয় নায়িকা ইন্দ্রাণী পাল (Indrani Paul)। স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘বরণ’ (Baran) ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিনেতা সুস্মিত মুখার্জি। এই নতুন জুটি অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মন জিতে নেয়। পর্দায় তিথি ও রুদ্রিকের রসায়ন দেখতে পছন্দ করতেন ধারাবাহিকপ্রেমীরা।

খুব কম সময়ের মধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের কাছে পছন্দের হয়ে উঠেছিল বরণ। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে বড়লোক বাড়ির বখে যাওয়া ছেলে ছিলেন রুদ্রিক। অন্যদিকে, মধ্যবিত্ত বাড়ির দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন মেয়ে তিথি। দর্শকদের মনে নিজেদের অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রী।

তিথি চরিত্র করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ইন্দ্রাণী। তারপর তাঁকে রেজওয়ানের (Rezwan Rabbani Sheikh ) সঙ্গে কাজ করতে দেখা যায় নবাব-নন্দিনী ধারাবাহিকে। অল্প সময়ের জন্য জনপ্রিয় হলেও টিআরপি তালিকায় জায়গা না পাওয়ায় শেষ হয় যায় ধারাবাহিকটি। এরপরেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে ইন্দ্রাণী পাল। অভিনেত্রীর কামব্যাক করার গুজব শোনা গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মাঝে সমাজমাধ্যম থেকেও সরিয়ে ফেলেছিলেন নিজেকে। এখন আবার তিনি ফিরেছেন সমাজমাধ্যমে। কিন্তু তার অভিনয় ফিরে আসার কোনো খবর জানা যায় না।

গ্রাম থেকে কলকাতায় পড়াশোনার জন্য এসেছিলেন ইন্দ্রাণী, তারপর সুযোগ পান অভিনয়ে

পুরুলিয়ার মেয়ে ইন্দ্রাণী। সন্তময়ী গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্কুলের শিক্ষা শেষ করে কলকাতায় এসেছিলেন কলেজে পড়াশুনোর জন্য। কলেজে পড়তে পড়তেই অভিনয়ে সুযোগ পান। ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করছেন ইন্দ্রাণী। অভিনয়ের পাশাপাশ মডেলিংও করেন।

দীর্ঘ ২ বছরের স্ট্রাগলে বহুবার প্রত্যাখান সহ্য করতে হয়েছে তাকে। কোথাও কোনো সুযোগ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হওয়ায় এখানকার আদবকায়দা সম্পর্কেও তার বিশেষ ধারণা ছিল না। এমতাবস্থায় বিভিন্ন নোংরা প্রস্তাবও আসতে থাকে। অনেকেই তার অসহায়তার সুযোগও নিতে চায়।

আরও পড়ুন: মালা চ্যাটার্জীকে বরণ করে ঘরে তুলল মেহেন্দি! মুখার্জি বাড়িতে মালাকে ‌উচিত জবাব দিল জ্যাস ও কৌশিকী

কেউ কেউ তো কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নও দেখিয়েছিল অভিনেত্রীকে । কেউ আবার সরাসরিই বলেছিলেন, এই পেশায় আসতে গেলে কিংবা মডেলিং করতে গেলে হাতে মদের গ্লাস নিয়ে ক্লাবে আসতে হবে। আবার সেই সঙ্গে কম্প্রোমাইজও করতে হবে। কিন্তু কম্প্রোমাইজ তিনি করতে চাননি। তাই কি তিনি কাজ পাচ্ছেন না। তার উত্তর সময় দেবে।