‘সাদা চুলেও মাসি ছিলেন অসামান্য সুন্দরী!’ শেষ জীবনে কেমন দেখতে হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন? খোলসা করলেন বোনঝি
Suchitra Sen: মহানায়িকা শব্দবন্ধ শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে একটা মুখ। সত্তরের দশকে একাই দাপিয়ে রাজ করেছেন বাংলা সিনে দুনিয়ায় (Bengali Film Industry)। বাঙালি দর্শক উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) বিপ’রী’তে কাউকে কল্পনাই করতে পারতেন, তিনি সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। তাঁর সৌন্দর্য্য দেখে চো’খ ক’পালে উঠত আট থেকে আশির। তাঁর অভিনীত কাল’জয়ী বাংলা সিনেমাগুলি (Bengali Cinema) আজও বিরাজমান সিনেমাপ্রেমী মনের মণি কোঠায়।
বাড়ির লোক নাম রেখেছিলেন কৃষ্ণা। ছোট্ট কৃষ্ণা যখন স্কুলে ভর্তি হল তখন তাঁর নাম বদলে হয় রমা। পরবর্তীতে রূপে’র ছটা ও অভিনয় দক্ষ’তায় তাঁর নাম হয় সুচিত্রা সেন। ২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি প্রয়াত হন মহানায়িকা। আজও তাঁকে নিয়ে চলে জোড় চর্চা। কারণ কি জানেন? শেষ বয়সে কেমন দেখতে হয়েছিল মহানায়িকাকে? সিনেমা থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে নিজেকে অন্ত’রালে রেখেছিলেন তিনি। সেই আ’গল ভে’ঙে প্রবে’শের অধিকা’র ছিল না পরিবার ও পরিচিত ছাড়া কারোর। তবে কেন এমন অদ্ভু’ত সি’দ্ধান্ত জানা ছিল না
১৯৯৫ সালে ভোটের কার্ডের জন্য একবার ছবি দেন। তবে সেই শে’ষ। নিজের সিদ্ধান্তে এতটাই অন’ড় ছিলেন যে ২০০৪ সালে দাদা সাহেব ফালকের জন্য ডাকা হলেও আনতে যান’নি তিনি। তবে এককালীন মহানায়িকা কেন নিজেকে লাইমলাইটের আড়ালে রাখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন?
উল্লেখ্য, সুচিত্রা সেনের বোনঝি লগ্না ধর একবার সুচিত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ”কেউ যদি বলেন, মাসির চেহারা শেষ বয়সে খারাপ হয়েছিল। তাহলে খুব ভুল বলেছেন। সাদা চুলেও মাসি ছিলেন সমান সুন্দরী। এছাড়া সেই গ্রেসটা তো ছিলই।” তিনি আরও জানান, ”জানি না ঠিক কোন কারণে মাসি এই সি’দ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার হিসেবে আমরা প্রত্যেকে সমর্থন করেছিলাম। সব তারকা মধ্য’গগ’নে থাকার পর এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু মাসি পেরেছিলেন।”
আরো পড়ুন: জ’ঘ’ন্য’ত’ম শাশুড়ি! পর্ণার সাধের অনুষ্ঠানে গ’ণ্ড’গো’ল বাঁধল কৃষ্ণা, শাশুড়ির ব্যবহারে কা’ন্না’য় ভেঙে পড়ল পর্ণা
সুচিত্রা সেন বাংলা সিনেমা জগতে পা রাখেন ‘সাত নম্বর কয়ে’দি’ ছবির হাত ধরে। তবে দেবকী কুমার বসুর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য ছবির বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন। ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে রুপো জিতেছিলেন। ১৯৭২ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন। তারপর ১৯৭৯ সাল থেকে মহানায়িকা সকল প্রকার যোগাযো’গ পরিহা’র করলেন। তাঁর এই রহ’স্যম’য়তার নিরিখে তাঁকে তুলনা জন্য তাঁকে তুলনা করা হয় গ্রেটা গার্বোর সঙ্গে।