“সকালে অ্যামাজনের এইচ.আর, বিকেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর”— সৈকতের বেফাঁস মন্তব্য! “অ্যামাজনের পোর্টালে কোথাও নামই নেই, সে নাকি এইচ.আর!” “তোমার মুখ কেয়ারটেকারের যোগ্য না, অ্যামাজনের এইচ.আর. দাবি!”– পডকাস্টে ঢাক পিটিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে কনটেন্ট ক্রিয়েটর সৈকত!

বাংলা কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের মধ্যে ‘সৈকত দে’ (Saikat Dey) এখন বেশ পরিচিত নাম। প্রতিটি সোশ্যাল প্লাটফর্মে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা কয়েক লাখ ছুঁয়েছে। বেশিরভাগ পোস্টে তাঁকে দেখা যায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর (Content Creator) প্রেরণা দাসের সঙ্গে। তাঁদের জুটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে বছরখানেক আগে এক মিউজিক ভিডিও এবং কিছু ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন সত্যিই বিয়ে করে ফেলেছেন দু’জনে। পরে জানা যায়, সেটা ছিল কেবলই ভিডিওর জন্য সাজানো গল্প।

তবে সেই গান আজও দর্শকদের কাছে সমান জনপ্রিয়, আর তাঁদের জুটি নিয়ে তখন থেকেই আলোচনা। অনেকেই চেয়েছিলেন রিল-এর প্রেমটা যেন সত্যিই বাস্তব জীবনে পরিণতি পায়। কিন্তু দর্শকদের সেই প্রত্যাশায় ভাটা পড়েছিল, যখন সৈকত নিজেই জানিয়েছিলেন প্রেরণার সঙ্গে প্রেম নয়, বরং তিনি মন দিয়েছেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া-এর অভিনেত্রী নিশা পোদ্দারকে। নিশা ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের কাছে চেনা মুখ, ফলে খবরটা শোনা মাত্রই নতুনভাবে কৌতূহল বেড়েছিল ভক্তদের।

তবে শুধু ব্যক্তিগত জীবনের জন্য নয়, সম্প্রতি পেশা সম্পর্কিত কিছু মন্তব্যের জন্যও আবারও আলোচনার কেন্দ্রে সৈকত। ভাবছেন তো, এমন কী মন্তব্য করলেন আপনাদের প্রিয় ক্রিয়েটর? সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কনটেন্ট ক্রিয়েশনকে কীভাবে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর সৈকতের দেওয়া উত্তর নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তিনি বলেন, “প্রথমে আমি অ্যামাজন কোম্পানির এইচ.আর পোস্টে কাজ করতাম, এমনকি এখনও করি।

আমি সকালে কাজ করি আর বিকেলে কনটেন্ট বানাই। অ্যামাজনে সাড়ে তিন বছর কাজ করার পর ইচ্ছে হয়েছিল, কিছু একটা অন্যরকম করতে হবে।” এই উত্তর শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহু দর্শক ও নেটিজেন। সমালোচকদের অনেকে মন্তব্য করেছেন একেবারে তীব্র ভাষায়। একজন কটাক্ষ করে লিখেছেন, “ভাগ্যিস বলেনি… নবান্নর চোদ্দ তলায় বসি।” আরেকজন লিখেছেন, “আমি নিজে অ্যামাজনে চাকরি করি।

ভাই, তোমার নাম তো কোম্পানির পোর্টালেই নেই। আর তা ছাড়া অ্যামাজনের অফিস কলকাতায় নেই… শুধুমাত্র আইটি বিভাগ আছে। ফাজলামি মারার জায়গা পাও না!” কেউ আরও যোগ করেছেন, “আসলে জানে না যে ইন্টারনাল পোর্টালে সব কিছু ঠিকঠাক খুঁজলেই বেরিয়ে আসে, ওই জন্য ধাপ্পাবাজির গল্পটা বলতে পারলো।” অভিযোগ-প্রতিবাদে থেমে থাকেনি তর্ক। আরও কেউ লিখেছেন, “ভাই, ধাপ্পা মারারও একটা লিমিট আছে।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর আনন্দের মাঝেই শো’কের ছায়া! টলিউড অভিনেত্রীর বাগদত্তার রহস্যমৃ’ত্যু, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাড়ি থেকেই ঝুল’ন্ত দে’হ উদ্ধার, পেছনে রয়েছে অভিনেত্রীর হাত?

একটু বুঝে শুনে মারো। সারা জীবন বাবার টাকা নষ্ট করে রিল বানিয়ে, এখানে এসে বলছো তুমি অ্যামাজন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করো! তোমার মুখ অ্যামাজনের কেয়ারটেকার হওয়ার যোগ্য না, আর তুমি নাকি এইচ. আর.!” এই ধরনের তীব্র সমালোচনার মুখে এখন সৈকত কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা। তাঁর বক্তব্য যে অনেক ভক্তদের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে, তা বলাই যায়। এই কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রভাবিত হয় কিনা, সেটা সময়ই বলবে।