বাংলা চলচ্চিত্র (Bengali Cinema) জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা মনোজ মিত্র (Manoj Mitra)। একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক মন জয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিনোদন জগত থেকে অনেকটা দূরে। বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে অভিনয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন অভিনেতা। ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন মনোজ মিত্র। তবে তাঁর অসুস্থতার খবর বদলে যায় ‘মৃত্যুর খবরে’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অভিনেতার মৃত্যু সম্পর্কিত গুজব।
অভিনেতা মনোজ মিত্রের জীবন সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই। কিংবদন্তি অভিনেতার অভিনয় হাতেখড়ি নাটকের মাধ্যমে। ছোটবেলায় নাটক দেখে ভালো লেগে যেতে পরে অভিনয় শুরু করেন তিনি। বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় গৃহশিক্ষকের কাছেই পড়াশোনা করতেন মনোজ মিত্র। আগ্রহ ছিল উচ্চশিক্ষাতেও। একসময় গবেষণার কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে তা শেষ করতে পারেন নি তিনি।
নব্বই দশকের রূপোলি পর্দায় দাপুটে অভিনেতা ছিলেন মনোজ মিত্র। তাঁর অভিনয় করা চলচ্চিত্র গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শত্রু, ঘরে-বাইরে, গণশত্রু, মধূমালতি, আদালত, ময়নাতদন্ত, দামু, অন্তর্ধান, হুইলচেয়ার ইত্যাদি। বাংলা চলচ্চিত্রের তাঁবড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। যাঁদের মধ্যে অন্যতম সত্যজিত রায়, তপন সিনহা, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তরুণ মজুমদার, গৌতম ঘোষ
-সহ আরও অনেকে।
বর্তমানে অভিনেতার বয়স প্রায় চুরাশি বছর। গত ২০১৮ সালে আদালতের নির্দেশে বাড়িঘর ছেড়ে পথে এসে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। সেই ঘরে তাঁর রিহার্সালও চলত। আর্থিক অনটন ও অপমান সয়ে ঘর ছেড়েছিলেন অভিনেতা মনোজ মিত্র।
আরো পড়ুন:একদিকে দুর্জয়ের জীবন নিয়ে টানাটানি, অন্যদিকে অনাগত সন্তানের স্পন্দন বন্ধ! উভয় সংকটে রানী! প্রোমো ভাইরাল
তারপর কেটে গিয়েছে আরও বেশ কিছু বছর। কিন্তু এখন আর হাতে কাজ নেই অভিনেতার। চাইলেও ফিরতে পারেন না রূপোলি পর্দায়। এরইমধ্যে অভিনেতার মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত তাঁর পরিবার। আপাতত হৃদয়ে পেসমেকার বসানো হয়েছে তাঁর ভালো আছেন অভিনেতা। তাই এই ধরণের গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় না ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেতা।