ডেকার্স লেনের কালি দি, মিষ্টি দি সবাই একসঙ্গে কিন্তু স্মার্ট দিদি নন্দিনী বাদ! নন্দিনীর উপর খাপ্পা নাকি অরুণদা?

খেয়ে যেমন পেট আর জিভের সুখ। খাবারদাবার (Food) দেখেও চোখ আর মনের সুখ মেলে অনেকের। আর সে খাবারের দাম যদি হয় পকেট ফ্রেন্ডলি, তাহলে মাঝেমধ্যে চেখে দেখতে ক্ষতি কী? কলকাতার অতি পরিচিত খাবার গলি ডেকার্স লেনের (Dacres Lane)। চিত্তদার দোকান ছাড়াও অরুণদার (Arun Da) ‘জয় মা তারা’ (Joy Maa Tara) অন্যতম নামকরা দোকানগুলির মধ্যে একটি। কম পয়সায় জিভে আহা স্বাদ আনতে অনেকেই ঢুঁ মারেন অরুনদার দোকানে।

প্রায় ত্রিশ বছর ধরে অরুনদা মানুষের উদরপূর্তিতে নিয়োজিত। তাঁর দোকানে মেলে ঝকমারি নানা স্বাদের নিরামিষ খাবার। এগারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত শ দুয়েক মানুষের পাত বাড়েন তিনি। আর একবার খেলেই বার বার ফিরে আসতে হয় তাঁর দোকানে।

তাই এবার তাঁর দোকানে এলেন ভাইরাল মিষ্টিদি ও কালিদি। ইতিপূর্বে, তাঁদের নিজের হাতে খাবার পাঠিয়েছিলেন অরুনদা। তাই এবার দাদার সঙ্গে দেখা করতে সুদূর হাবড়ার চাঁদপাড়া থেকে এসেছেন দুই বোন। দুই বোনের ‘কালিদির হোটেল’ও বেশ ফেমাস চাঁদপাড়া চত্বরে।

তাঁদের আসতে দেখে আপ্লুত অরুনদা। বললেন,’আমি কৃতজ্ঞ ওনারা অত দূর থেকে এখানে এসেছেন। আজ পর্যন্ত যারা ভাইরাল হয়েছে, তাদের কাউকে দেখেছিস অন্যের দোকানে এসেছেন? এনাদের দেখ।’ অরুনদা আরও বলেন, ‘এই ডেকার্স লেন খাবারের জন্য ফেমাস। অনেক দোকান আছে। চিত্ত দার দোকেন, চাইনিজের দোকান, ফেমাস মিষ্টির দোকান। আপনারা এসেছেন, সবার দোকেন থেকে খেয়ে দেখে যাবেন।’ তবে সবার মাঝে নন্দিনীদির কথা বলতে বেমালুম ভুলে গেলেন অরুন দা? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। আগেও স্মার্ট নন্দিনীদিকে চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন অরুন দা। যদিও তাদের দোকান প্রায় এক পাড়ায় বলা চলে। আর আজকের সামাজিক মাধ্যমের যুগে কেউ তাঁকে চেনেন না বিশ্বাস করা একটু কঠিন।

আরও পড়ুনঃ খাবার খেয়ে আজও নিজের থালা নিজেই মাজে বং ক্রাশ ‘ডোডো’দা! বড়পর্দায় আসছে অর্পণ ঘোষাল

উল্লেখ্য, স্মার্টদিদির ভাল নাম মমতা গাঙ্গুলী। পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে সেফের চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। তবে কোভিডের সময় পৈত্রিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, চাকরি ছেড়ে হঠাৎই শুরু করে দেন পাইস হোটেলের ব্যবসা। মা-বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডালহৌসির এই হোটেল নিয়ে লড়াই। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়দর্শী ব্যানার্জির পরিচালিত নতুন প্রজেক্ট ‘তিন সত্যি’-তে। তবে নন্দিনীদির ইচ্ছে নিউটাউন ও উত্তর কলকাতায় পাইস হোটেল খুলবেন তিনি। এই মুহূর্তে বড় রেস্তরাঁর ব্যবসায় যদিও ইচ্ছে নেই স্মার্ট দিদি নন্দিনীর।