এক মাস হয়ে গেল পল্লবীর রহস্য মৃত্যুর, সাগ্নিকই খুন করেছে দাবি পল্লবীর বাবার, মেয়েকে খুনের বিচার চাই বলে কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে পড়লেন বাবা

গত মাসে ঠিক এই দিনে সকাল বেলায় মিলেছিল একটি দুঃসংবাদ যা শুনে যেমন সাধারণ মানুষ চমকে দিয়েছিলেন সেরকম টলিপাড়াও হয়েছিল স্তব্ধ। ফ্ল্যাটের ঘর থেকে মিলেছিল জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত দেহ। এরপর অনেক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসা সবকিছুই হয়।

পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকে ও তাদের এক কমন বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর বাবা। কিন্তু এক মাস হয়ে গেল সুবিচার মিলল না বলে হাহাকার করছেন নীলু দে। সাগ্নিক এখনও জেলে তবে তাকে এখনো দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। সামনেই এই কোর্ট কেসের শুনানি রয়েছে, আবার যাবেন পল্লবীর বাবা। আজও নিজের গলায় বলছেন, ‘সাগ্নিক আর ঐন্দ্রিলা, দু’জনকেই অপরাধী মনে হচ্ছে আজ। আমার মেয়ের মৃত্যুর ন্যায়বিচার চাই। যত দিন না সঠিক বিচার পাচ্ছি, তত দিন আমরা কেউই শান্তি পাব না। শান্তি পাবে না মিষ্টিও।’

স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে তারা অত্যন্ত ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবার। সেখানে এত যে পল্লবীর ধারের কথা আসছে তা কোনোদিনও সত্যি হতে পারে না।

এরপরেই তিনি জানাচ্ছেন, ‘আজও বলছি, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না। সাগ্নিকের সঙ্গে বিয়ের কথা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। শাঁখা বাঁধানো তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এখনও স্যাকরার দোকানে পড়ে আছে। সাগ্নিকের আইনত বিচ্ছেদ হলেই ২০২৩-এ ওদের বিয়ে দিতাম। ওই খানেই ভুল হয়েছিল। ওর আগের প্রেমিকার মৃত্যুও ঠিক একই ভাবে হয়। তা আমরা এড়িয়ে গিয়েছিলাম।

death
যখন আমার মেয়ে ওই কাণ্ড ঘটায়, তখন তো সাগ্নিক ছাড়া কেউ ছিল না! ও পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ একা কী করে নামাল? আমাদের অনুমান, ও চেয়ারে বা সোফায় বসে ছিল। পিছন থেকে ওকে হয়তো মারা হয়েছে। যে মেয়ে সে দিন সকালেও বাড়ির কাজের দিদির সঙ্গে ১৫ মিনিট কথা বলেছে, তার পরে কী এমন ঘটল যে, মিষ্টিকে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিতে হল?’ সাগ্নিক কি শাস্তি হবে নাকি বেকসুর খালাস হবে তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পল্লবীর পরিবার।