বিগত বেশ কিছু সময় ধরে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় একের পর এক নতুন নতুন ধারাবাহিক এসেছে। প্রতিটা ধারাবাহিকের গল্প একে অপরের থেকে আলাদা আর এই কারণেই দর্শকরা আকৃষ্ট হচ্ছে প্রতিটি ধারাবাহিকের প্রতি। মূলত বাংলা সিরিয়াল বলতে সেখানে নারী কেন্দ্রের চরিত্র বেশি দেখানো হয়। তবে এই মুহূর্তে নারী কেন্দ্রিক নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বেশি গল্প উঠে আসছে।
আর শুধুমাত্র নারীর ক্ষমতায়ন নয়, নারীরা যে সব দিক থেকে পারদর্শী সেই গল্প বারবার উঠে আসছে পর্দায়। তেমনই এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে গোধূলি আলাপ। অসমবয়সী প্রেমের গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল স্টার জলসা এই ধারাবাহিক। মুখ্য চরিত্রে একজন পোড় খাওয়া অভিনেতা এবং একজন নবাগতা অভিনেত্রী মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের। নোলক আর অরিন্দমের গল্প শুরু থেকেই জমে গেছে। তাইতো ভালোবেসে ভক্তরা তাদের নাম দিয়েছে “আরিলোক”।
যারা নিয়মিতই ধারাবাহিক দেখে তারা জানে সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে এক হয়েছে এই জুটি। বিশেষ করে নোলকের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে একেবারেই পছন্দ করত না। সবকিছু মানিয়ে গুছিয়ে এখন স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করতে চাইছে সে। নতুন বিয়ের পর এবার দুজন মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছে। প্রথম থেকেই অসমবয়সী প্রেমের গল্প নিয়ে বারবার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে এই জুটিকে। তবে সময়ের সঙ্গে দুজনের মিষ্টি খুনসুটি এবং প্রেমে মজেছে দর্শক।
এবার আসছে আউটডোর পর্বের শুটিং। মনে করা হচ্ছে দুজনের মধুচন্দ্রিমায় বেশ কিছু রসায়ন গল্প দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে হানিমুনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নোলকের দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার স্বামী অরিন্দম। তার মধ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হয়েছে।
নোলক হানিমুনে যাবার জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। সঙ্গে নিয়েছে আচার মুড়ি পেঁয়াজ লঙ্কা চাল ডাল ফুলকপি সবকিছু। বালতি মগ বালিশ মশারি বিছানা নিতেও ভোলেনি সে। এক কথায় গোটা সংসার উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সে হানিমুন করতে। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা করতে গেলে যে এত কিছু লাগে না সেই বোধবুদ্ধি হয়নি তার। এই নিয়ে বাড়ির লোক রসিকতা করছে। আর স্ত্রীর এই বুদ্ধি দেখে অরিন্দমের নাক লজ্জায় কাটা যাচ্ছে। শাশুড়ি মা তাকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে যায়।
দর্শক এই ঘটনা দেখে বিস্তার আনন্দ পেয়েছে। আবার অনেকে কটাক্ষ করেছে। সমালোচকদের মতে গ্রামের মানুষ এখন আর এতটা বোকা হয় না। কেউ আবার বলছে সিরিয়ালের যোগ্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়ে ভাঁড়ামো করা হচ্ছে।