রচনা ব্যানার্জি। নামেই তাঁর পরিচয়। এখন তিনি নিজেই একটা ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছেন। পরপর হিট সিনেমা, পরপর হিট অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে খ্যাতির চূড়ায়। শুধু টলিউড নয়, পাশাপাশি ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও সমানভাবে জনপ্রিয় এই দিদি নাম্বার ওয়ান।
দিদি নাম্বার ওয়ান নামটি বললেই তার সঙ্গে একটাই নাম উচ্চারিত হয় – রচনা ব্যানার্জি। হ্যাঁ, বছরের পর বছর ধরে জি বাংলার এই এক অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা হয়ে তিনি এই অনুষ্ঠানকে একটা আলাদা পরিচয় দিয়েছেন এনে। তাঁর মিষ্টি হাসি, মানুষকে বোঝার আর বোঝানোর ক্ষমতা, উৎসাহ দেওয়ার ক্ষমতা আকৃষ্ট করে বাঙালি দর্শকদের তাঁর প্রতি।
তবে এই সাফল্য একদিনে আসেনি এটা মানতেই হবে। ইন্ডাস্ট্রিতে এসে অনেকটাই পরিশ্রম করেছেন নিজের পরিচিতি তৈরি করতে দর্শকদের মাঝে। তবে আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না রচনা এই নায়িকার আসল নাম নয়।
হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে বাবা মার দেওয়া নাম পাল্টে নেন নায়িকা। তবে জানতে ইচ্ছে করছে না তাঁর আগের নাম কী ছিল? নায়িকার আসল নাম ঝুমঝুম ব্যানার্জি। ৪৯ বছর বয়সী এই নায়িকার এটাই আসল নাম। আর এই নাম তাঁকে কিন্তু অন্য কেউ নয়, দিয়েছেন টলিউডের অভিনেতা-পরিচালক সুখেন দাশ।
স্কুলের শংসাপত্র থেকে শুরু করে মিস ক্যালকাটার খেতাব… সবতেই ছিল নায়িকার ঝুমঝুম নামটিই। তাহলে কীভাবে তিনি রচনা হলেন? রচনার বাবার বন্ধু ছিলেন সুখেন দাশ যিনি তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁর ঝুমঝুম নামটা ভালো লাগেনি। কী করা যায়? রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে খোঁজা হয় নাম।
সুখেন দাশের হঠাৎই মনে হল, রবীন্দ্র রচনাবলী শব্দবন্ধেই লুকিয়ে আছে সেই নাম যেটা পরে দেওয়া হলো ঝুমঝুমকে– ‘রচনা’। সেই থেকে ঝুমঝুম রচনা নামেই বিখ্যাত হলেন। করলেন প্রচুর সিনেমা। আসল নামটা চাপা পড়ে গেল।